আজকাল ওয়েবডেস্কঃ সকালে অফিস বেরোনোর তাড়ায় পেট ভরে জলখাবার খাওয়ার সময় থাকে না। দুপুরের লাঞ্চটাও করতে হয় কাজের ব্যস্ততায়। বিকেলে ফেরার পথে হালকা খিদে জানান দেয়। রোজ নিজের জন্য কিছু আলাদা করে বানাতেও সময়ের দরকার।সন্ধ্যেবেলায় খিদে মেটাতে চটপটা ও নোনতা কিছু হলে মন্দ হয় না। একদিন সময় করে বানিয়ে যদি মাস দুয়েক স্টোর করে রাখা যায় তবে মন্দ কি? হাই প্রোটিন এই রেসিপিতে পেটও ভরবে, শরীরের জন্যও ভীষন উপকারি। জানুন কীভাবে বানাবেন এই নোনতা ভুজিয়া।

এক বাটি পরিমাণে চিঁড়ে, মুড়ি ও মাখানা প্যানে শুকনো খোলায় ভেজে নিন। মুচমুচে হয়ে গেলে আলাদা করে তুলে রাখুন। প্যানে এক চামচ ঘী দিন। গরম হলে জিরে ও কারিপাতা দিন। সুগন্ধ বেরোলে একে একে কাঠবাদাম, আমন্ড, কাজুবাদাম, চারমগজ, কিসমিস ও নারকেল টুকরো দিয়ে দিন। হালকা করে নাড়তে থাকুন। ভাজা হয়ে গেলে সব মশলা দিতে থাকুন। এক চামচ করে হলুদগুঁড়ো, কাশ্মীরি লঙ্কাগুঁড়ো, স্বাদ মতো নুন, জিরেগুঁড়ো ও চাট মশলা দিয়ে দিন। মশলা ভাল করে নেড়ে মিশিয়ে দিন। এবার আগে ভেজে রাখা মাখানা, মুড়ি ও চিড়ে একে একে দিয়ে দিন। আরও পাঁচ মিনিট নেড়ে নিন। একটি এয়ারটাইট কন্টেনারে ভরে রাখুন। প্রায় ২-৩ মাস আপনি স্টোর করতে পারবেন এই নোনতা ভুজিয়া। বিকেলের হালকা স্ন্যাকসের খিদে মেটাতে এই খাবার অতুলনীয়।

পুষ্টিগুণে ভরপুর মাখানা। ডায়াবেটিস রোগী থেকে সকলের জন্যই মাখানা খুব উপকারী। মাংসপেশির শক্তির বাড়াতে মাখানা খাওয়া দারুণ উপকারী বলে প্রমাণিত। সেজন্য শিশুদের মাখানার পেস্ট বানিয়ে খাওয়ান হয়ে থাকে। শরীরের পেশীতে মাঝে মাঝে টান ধরে গেলে নিয়মিত মাখানা খাওয়া ভাল। প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ফাইবার, আয়রন ও জিঙ্ক পাওয়া যায়। এই সব উপাদান শরীরের মধ্যে পুষ্টির জোগান বজায় রাখে।