আজকাল ওয়েবডেস্ক: সামাজিক মাধ্যম নিয়ে ফের একবার উত্তাল হল পাকিস্তান। পাক মন্ত্রী আকিল মালিক ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন যেন বেশিরভাগ সামাজিক মাধ্যমকে পাকিস্তানে কাজ করতে না দেওয়া হয়। তার দাবি এই ধরণের সামাজিক গ্রুপ থেকেই জঙ্গিরা নিজেদের কাজ করছে। ফলে প্রথম থেকেই যদি পাকিস্তানে এদের ব্যবহার বন্ধ করা হয় সেখান থেকে জঙ্গিরা সমস্যায় পড়বে।
সম্প্রতি পাকিস্তানের মাটিতে যে জঙ্গি হামলার ঘটনা হয়েছে সেখানে বালোচ লিবারেশন আর্মি, পাকিস্তানি তালিবানের কথা বিশেষ করে বলা হয়েছে। এরা যাতে আগামীদিনে পাকিস্তানকে নিশানা করতে না পারে সেজন্য পদক্ষেপ নিতে চায় পাক সরকার।
পাকিস্তানের দাবি ভারত, আফগানিস্তান এবং বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ থেকে জঙ্গিরা পাকিস্তানকে টার্গেট করছে। তাদের নিশানার শিকার হয়েছে পাকিস্তান। এখানে ইলন মাস্কের এক্স-কে সবার আগে নিজের নজরে রেখেছে পাক সরকার। এক্স পাকিস্তানে একটি দপ্তর খুলেছিল। পরে তারা সেটি বন্ধ করে দয়। ২০২৪ সালে পাকিস্তানেক প্রায় ৪ লাখ অ্যাকাউন্টকে বন্ধ করে দেয় এক্স। পাশাপাশি ইউটিউব এবং টিকটককেও ব্যান করে দেওয়া হয়।
পাকিস্তানের দাবি ভারত থেকে ১৯ টি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যারা পাকিস্তানের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। তাদের বেশিরভাগ আবার আফগানিস্তান থেকে পরিচালিত। ফলে পাকিস্তানের প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তান সহজেই পাক সরকারকে নিশানা করছে। চলতি বছরেই পাকিস্তানের সংসদে এই ধরণের সামাজিক মাধ্যমের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে একটি আইন পাশ করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন বেশ কয়েকটি কারণে এই পদক্ষেপ নিয়েছে পাকিস্তান। সেগুলি হল-
রাজনৈতিক অস্থিরতা: ২০২৩ সালের সাধারণ নির্বাচনের সমযয় এক্স বন্ধ রাখা হয়েছিল, যা নির্বাচন জালিয়াতির প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় করা হয়েছিল।
সন্ত্রাসবাদ ও উস্কানি: পাকিস্তান সরকার নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠী এবং অন্যান্য উস্কানিমূলক কনটেন্ট ছড়ানো বন্ধ করতে ফেসবুক, টুইটার ও টেলিগ্রামের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোতে অ্যাকাউন্ট ব্লক করার জন্য চাপ দিচ্ছে।
অনৈতিক কনটেন্ট: টিকটক-এর মতো প্ল্যাটফর্ম থেকে 'অশ্লীল ও অনৈতিক' ভিডিও সরানোর জন্য পিটিএ বারবার পদক্ষেপ নিয়েছে।
রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ: রাষ্ট্রবিরোধী, সাম্প্রদায়িক উস্কানি এবং ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে শতাধিক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে।
কীভাবে বন্ধ করা হয়:
পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন অথরিটির মাধ্যমে ইন্টারনেট ও সামাজিক মাধ্যম সীমিত করা হয়। ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির সাহায্যে বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়।
পাকিস্তানের এই কথার কড়া জবাব দিয়েছে ভারত। তারা জানিয়েছে নিজেদের জঙ্গি কার্যকলাপ রোখার জন্য পাকিস্তান সরকার এই কাজ করেছে। নিজেদের তৈরি করা অস্ত্র তাদের কাছেই বুমেরাং হয়েছে। তাই পাকিস্তান সরকার এই ধরণের বাহানা করছে। ভারত এগুলি নিয়ে চিন্তিত নয়। পাকিস্তান নিজের ফাঁদে নিজেই পড়েছে। এখানে কারও কিছুই করার নেই।
