১৩ ডিসেম্বর লিওনেল মেসির গোট ইন্ডিয়া ট্যুরের প্রথম দিন ছিল। একাধিক কর্মসূচিতে ঠাসা ছিল তাঁর কলকাতা সফর। তার ফাঁকেই আর্জেন্টিনার এই ফুটবল তারকার সঙ্গে দেখা করলেন শাহরুখ খান। 

১২ ডিসেম্বর মধ্যরাতে প্রাইভেট জেটে কলকাতায় আসেন লিওনেল মেসি। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই ছোট ছেলে আব্রামকে নিয়ে শহরে পা রাখেন শাহরুখ খানও। শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর সকালে লেকটাউনে লিওনেল মেসির মূর্তি উদ্বোধন হয়। তবে সেখানে সশরীরে উপস্থিত হননি এই ফুটবল তারকা। বরং যে হোটেল ছিলেন তিনি, সেখান থেকেই ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন। পাশে ছিলেন মন্ত্রী সুজিত বসু। শাহরুখ খান এদিন সেই সময়ই এসে মেসির সঙ্গে দেখা করেন। করমর্দন করেন। সঙ্গে ছিল তাঁর ছেলেও। দুজনে হেসে হেসে বেশ কিছুক্ষণ কথাও বলেন। কিং খানকে এদিন মন্ত্রী সুজিত বসুর সঙ্গেও করমর্দন করেন। শাহরুখ এবং আব্রাম দুজনেই এদিন সাদা টিশার্ট পরে এসেছিলেন। অন্যদিকে মেসির পরনে ছিল কালো টিশার্ট। 

প্রসঙ্গত, শনিবার সকালে যুবভারতী স্টেডিয়ামে ঢোকার মিনিট ১৫-২০ মধ্যেই মাঠ ছাড়েন মেসি। তাঁকে দেখতে জনসমুদ্র তৈরি হয়েছিল মাঠ এবং মাঠের বাইরে। কিন্তু তিনি মাঠে আসার কিছুক্ষণের মধ্যে তৈরি হয় অসম্ভব বিশৃংখলা। লিওকে দেখতে না পেয়ে দর্শকাশন থেকে উত্তেজিত, ক্ষিপ্ত জনগণ মাঠে জলের বোতল, চেয়ার ছুঁড়তে থাকেন। বাধ্য হয়ে মেসিকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। অনুষ্ঠানের জন্য তৈরি করা শামিয়ানায় আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়। ধোঁয়া দেখেই তৎপরতার সঙ্গে আগুন নিভিয়ে দেওয়া হয়। এমনকী, স্টেডিয়ামের বাইরে সাংবাদিকদের ওপরেও আক্রমণ করা হয়। আক্রমণের মুখে পড়েন চিত্র সাংবাদিকরা।

প্রসঙ্গত, সকাল ন'টা থেকেই শুরু গান-বাজনা। গান করলেন অনিক ধর। বলিউডের হিট নম্বরের পাশাপাশি ছিল মেসিকে নিয়ে বিশেষ গান। আর্জেন্টিনার ট্যাঙ্গো এবং রবীন্দ্রনৃত্য মিলিয়ে নৃত্য পরিবেশন করা হয়। দ্বিতীয়বার মেসির পা যুবভারতীতে পড়ার আগেই তৈরি এক ম্যাজিক্যাল মুহূর্ত। সকাল ১০.১৫ মিনিট থেকে শুরু হয় অনুষ্ঠান। চলে প্রায় ১০.৪৫ পর্যন্ত। কিন্তু সময় গড়াতেই ছবি বদলে যায়। এদিন মাঠে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শাহরুখ খানেরও আসার কথা ছিল। আসার কথা ছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়েরও। এসেছিলেন অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু এই বিশৃংখলার কারণে সব অনুষ্ঠান স্থগিত করে দেওয়া হয়। ফিরে যান শাহরুখ খান। মাঠের বাইরে এসে ক্ষোভ দেখাতে থাকেন দর্শকরা। রিফান্ড চান টিকিটের দাম।