আজকাল ওয়েবডেস্ক: আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসিকে দেখার জন্য উন্মাদনার পারদ তুঙ্গে উঠেছিল। ভোরবেলা থেকে যুবভারতী ক্রীড়ঙ্গনের বাইরে লাইন দিয়েছিলেন ভক্তরা। অপেক্ষার অবসান করে মেসি পৌঁছলেন মাঠেও। কিন্তু, তাঁকে দেখার জন্য অধীর অপেক্ষায় বসে থাকা ভক্তরা এক পলকের জন্য দেখা পেলেন না তাঁর। মাঠে ঢোকার পর থেকেই মেসিকে ঘিরে রাখলেন নেতামন্ত্রীরা। এর পরেই ভেঙে যায় ধৈর্যের বাঁধ। বিক্ষুব্ধ দর্শকরা ভাঙচুর করলেন স্টেডিয়ামে। মাঠে ছুঁড়ে মারা হল বোতল, ছোঁড়া হল চেয়ার। হাজার হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কাটা ব্যর্থ। দর্শকদের যেভাবে বঞ্চিত করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর প্রশ্ন, “কেন মেসিকে ঘিরে থাকল হ্যাংলামির ভিড়?”

মাঠের বিশৃঙ্খলার পরেই নিজের ফেসবুক হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করেন কুণাল। তিনি সেখানে লিখেছেন, "কেন মেসিকে ঘিরে থাকল হ্যাংলামির ভিড়? কেন স্টেডিয়াম পরিক্রমার সময় মেসিকে একা এগিয়ে রাখা হল না? কেন গ্যালারির দর্শকদের বঞ্চিত করা হল? এতে কলকাতার সুনাম বাড়ল? অপদার্থ আয়োজক কেন ন্যূনতম পরিকল্পনার ছাপ রাখল না? শুধু টাকা? শুধু ব্যবসা? এই আয়োজক আর কিছু  হ্যাংলার জন্য সবাই বঞ্চিত হল। কলকাতা লজ্জিত হল। দর্শকদের ক্ষোভ ন্যায্য। পুনশ্চ: 2011 সালে এই যুবভারতীতেই খেলেছিলেন মেসি। আমি আর সহকর্মী প্রসেনজিৎ বক্সি কর্নার ফ্ল্যাগের পাশে বসে খেলা দেখেছিলাম। বারো ফুটের মধ্যে এসে কর্নার নিলেন মেসি। সবটা হয়েছিল পরিকল্পিতভাবে। কোনো বাড়াবাড়ি সেদিন হয়নি।"

শনিবার মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। দর্শকদের অভিযোগ, মাঠে মেসির সঙ্গে এত ভিড় ছিল, মেসিকে দেখতেই পাননি তাঁরা। রাগে মাঠে পরপর বোতল পড়তে থাকে। এমনকী, মেসির পোস্টার ছিঁড়ে মাঠে ফেলা হয়, ছুঁড়ে ফেলা হয় চেয়ার। দর্শকদের অভিযোগ, হাজার হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কাটা বৃথা হল। মাঠের মাঝে মেসিকে ঘিরে এত ভিড় যে গ্যালারি থেকে দেখাই যায়নি। সেই রাগে জল ভর্তি বোতল মাঠ লক্ষ্য করে ছুঁড়ে মারা হয়। ফলে, নির্ধারিত সময়ের আগেই মাঠ ছাড়েন মেসি।

গোট ইন্ডিয়া ট্যুরের যত পোস্টার ছিল সব ছিঁড়ে ফেলা হয়। দর্শকদের অভিযোগ, এত টাকা দিয়ে টিকিট কেটেও কেন মেসিকে দেখা গেল না? শাহরুখ খান মাঠে এসেছিলেন অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য। কিন্তু তার আগেই তিনি ফিরে গেলেন। যুবভারতীর অবস্থা বর্তমানে শোচনীয়। পুরোপুরি ভেঙে ফেলা হয়েছে যুবভারতীর ডাগ আউট। 

মাঠের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি চলে যায় দর্শকদের দখলে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের তাড়া করে। যদিও লাঠিচার্জ করা হয়নি। পুলিশের তাড়া খেয়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে যান বিক্ষুব্ধ দর্শকরা।

(বর্তমান যুগে খুব দ্রুত মানুষের কাছে খবর পৌঁছে যায়। কিন্তু এই দ্রুততার কারণে অনেক সময় সঠিক খবর পৌঁছনো যায় না। দ্রুত খবর পৌঁছতে গিয়ে অনেক সময় ভুল খবর বিভিন্ন গোষ্ঠী বা মানুষের মধ্যে প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। আমরা চাই না দ্রুততার কারণে আপনার কাছে ভুল খবর পৌঁছক। তাই সময় নিয়ে সঠিক খবর পৌঁছে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য। তাই নির্ভরযোগ্য খবরের মাধ্যম হিসেবে নজর রাখুন আজকাল ডট ইনে। এই খবরটি দ্রুত আপডেট করা হবে।)