আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রতিটি বছরেই বদলে যাচ্ছে পৃথিবীর আবহাওয়া। সেইমতো দেখতে হলে পৃথিবীর প্রতিটি দেশের পরিবেশে বড় ধরণের বদল দেখা যাচ্ছে। চলতি বছরে শীত ধীরে ধীরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে নিজের প্রভাব দেখাচ্ছে। যারা শীতকে পছন্দ করেন তাদের কাছে এটি একটি ভালো সময়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন অন্য কথা।


চলতি বছরে বর্ষার প্রভাব অনেকটা বেশি দেখা গিয়েছে। সেখানে গরম বিশেষ করে নিজের দাপট দেখাতে পারেনি। সেখান থেকে দেখতে হলে এল নিনো সকলের নজরে থাকলেও এবার সকলকে যন্ত্রণা দিতে তৈরি লা নিনা। বিশ্বের পরিবেশকে সে একাই বদলে দিতে তৈরি। সেইমতো যদি সবকিছু ঠিক থাকে তাহলে লা নিনার প্রভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শীতের দাপট একটু বেশি দেখা যাবে।


লা নিনা এবারে শীতের পরিবেশকে একেবারে বদলে দেবে। প্রশান্ত মহাসাগর থেকে ঠান্ডা বাতাস তার পাশের প্রতিটি দেশকে কাঁপিয়ে দেবে। সবথেকে বেশি প্রভাবিত হবে দক্ষিণ আমেরিকা। সেখানে এবারে লা নিনা সবথেকে বেশি শীতল পরিবেশ তৈরি করবে। এই তালিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কানাডার বিস্তীর্ণ অংশও থাকছে। 


উত্তর আটলান্টিকের ওপরেও এবারে লা নিনার বেশি প্রভাব থাকবে। ফলে সেখান থেকেই শীতের দাপটের খবর আসছে। সেখানকার তাপমাত্রা ইতিমধ্যেই স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটা নিচের দিকে নেমে গিয়েছে। আবহবিদরা মনে করছেন যেভাবে লা নিনা এবার শীতকে নিয়ে আসছে তাতে শীত এবার হবে দীর্ঘস্থায়ী। ফলে বৃষ্টির দাপট নিয়ে যেমন সকলে শেষদিকে বিব্রত বোধ করেছিল ঠিক একই পরিস্থিতি তৈরি হবে শীতের বেলাতেও। প্রতিবছর শীতের সময় যেখানে যতটা থাকে এবার তার তুলনায় অনেকটাই বেশি থাকবে। 


বিভিন্ন দেশের হাওয়া অফিসের সূত্র থেকে খবর মিলছে সেখানে শীতের প্রভাব এবার অনেকটা বেশি। ফলে এবার শীত দীর্ঘস্থায়ী হয়েই সকলকে তার খেলা দেখাবে। তবে শীতের দিনে যারা সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন সেই প্রবীণ নাগরিকরা এবার অনেকটা বেশি সমস্যাতে পড়বেন। তাদের শীতকালীন রোগের মাত্রা অনেকটাই বাড়বে। তাই আগে থেকে যদি ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে তাদের কপালে ভোগান্তি আছে। 


বিশ্বের বিভিন্ন হাওয়া অফিস ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে এবার বেশ কয়েকটি সাধারণ দেশেও তাপমাত্রা অনেকটা কম থাকবে। সেই তালিকায় বেশি থাকবে প্রশান্ত মহাসাগর এবং দুই মেরু সংলগ্ন দেশগুলি। তাই আগে থেকেই এই সমস্ত দেশের বাসিন্দাদের জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এবার শীতের পরিমান কতটা হতে পারে সেটি নিয়ে বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা একটি বিশেষ পরীক্ষা শুরু করেছেন। এর ওপর ভিত্তি করে আগামী বছরগুলিতে শীত কতটা কমবে বা বাড়বে সেদিকে বিশেষ নজর থাকবে।