আজকাল ওয়েবডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় 'ডানা'র প্রভাব পড়তে পারে সুন্দরবন অঞ্চলে উপকূলীয় এলাকায়। আতঙ্কে ওই এলাকার বাসিন্দারা। একদিকে যেমন চলছে সুন্দরবন অঞ্চলে কাঁচা বাঁধ মেরামতের কাজ তেমনি চলছে মাইকিং করে সতর্ক করা। মঙ্গলবার কাকদ্বীপ মহকুমা শাসকের দপ্তরে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা। বৈঠকে ওই এলাকাগুলির বিধায়ক, বিডিও ও সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা ছাড়াও ছিলেন পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা। বৈঠকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা-সহ বাঁধগুলির কী অবস্থা সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেইসঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলায় কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে সেই বিষয়েও আলোচনা সেরেছেন মন্ত্রী। 

 

 

অভিজ্ঞতায় দেখা গিয়েছে, প্রতিটি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় কাকদ্বীপ মহকুমার মৌসুনি ও ঘোড়ামারা দ্বীপ। এবছর ঘূর্ণিঝড় ডানার (cyclone Dana) থেকে সেই ক্ষতি আটকাতে প্রশাসন কী ব্যবস্থা নেয় সেটাই এখন দেখার বিষয়। প্রশাসনের একটি সূত্র জানিয়েছে, এই অঞ্চলগুলির মোট ১৭টি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। যেখান থেকে পরিস্থিতি অনুযায়ী বাসিন্দাদের ফ্লাড সেন্টারে স্থানান্তরিত করা হবে। যার মধ্যে রয়েছে সাগর বিধানসভার সুমতি নগর, ঘোড়ামারা দ্বীপ, মৌসুনি দ্বীপ, কষতলা, কাকদ্বীপ বিধানসভার বুধাখালি, ঈশ্বরীপুর ও পাথর প্রতিমার গোবর্ধনপুর ও অন্যান্য জায়গাগুলি। 

 

 

সুন্দরবন অঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের একটি বড় মাধ্যম হল জলপথ। কিন্তু প্রশাসনের একটি সূত্র জানিয়েছে, পরিস্থিতি বুঝে বুধবার থেকেই সমস্ত ফেরি সার্ভিস বন্ধ রাখা হবে।‌ রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের পাশাপাশি এনডিআরএফ-এর তিনটি দল মোতায়েন করা হবে। পরিস্থিতি নজরে রাখতে ইতিমধ্যেই উপকূলের বিভিন্ন জায়গায় বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। যার মাধ্যমে কন্ট্রোল রুম থেকে খেয়াল রাখবে জেলা প্রশাসন।  দক্ষিণ ২৪ পরগণার পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগণায় সুন্দরবন সংলগ্ন হিঙ্গলগঞ্জ এলাকাতেও নেওয়া হচ্ছে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা। হিঙ্গলগঞ্জের দুলদুলি, সাহেবখালি ও আশেপাশের এলাকায় হয়েছে মাইকিং। এলাকায় রায়মঙ্গল ও কালিন্দী নদীর ধার ঘেঁষে বসবাসকারী মানুষজনকে সতর্ক করার পাশাপাশি স্কুল বাড়িগুলি প্রস্তুত রাখা হয়েছে ফ্লাড সেন্টার হিসেবে। মজুত করা হয়েছে শুকনো খাবার, গুঁড়ো দুধ ও জল।