আজকাল ওয়েবডেস্ক: ব্রিটেনে এক তরুণী তার প্রেমিকের সঙ্গে সাত মাসের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। প্রেমিকের যত্ন, নিরাপত্তা এবং বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণে তিনি অভিভূত—প্রতিদিন অফিসে যাবার আগে প্রেমিক বানিয়ে দেন স্বাস্থ্যকর টিফিন, পরিকল্পনা করেন চমকপ্রদ আউটিং। অথচ একটা দিকেই মিল হচ্ছে না—যৌনজীবন।

প্রেমিক বিছানায় 'ভ্যানিলার' মতো অর্থাৎ গতানুগতিক যৌনতার বাইরে যেতে রাজি নন। তরুণী চেষ্টা করলেও তিনি তা 'নারীর প্রতি অবমাননাকর' বলে খারিজ করেন। অথচ তরুণী অতীতে অভিজ্ঞ হয়েছেন আরও সাহসী, পরীক্ষামূলক যৌনতায়, এবং তা তাঁর জন্য ছিল পরিপূর্ণতার উৎস। মনের এই টানাপোড়েনের পেছনে মনোবিদদের মতে থাকতে পারে 'পিতৃতুল্য' সম্পর্কের ছাপ। বিশেষত যাঁদের শৈশব ছিল অস্থির বা পিতৃসঙ্গ বঞ্চিত, তাঁদের প্রাপ্তবয়স্ক সম্পর্কেও অনেক সময় গড়ে ওঠে মানসিক নির্ভরতার ছায়া, যা যৌন উত্তেজনায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারে।

মনোবিদ পামেলা স্টিফেনসন কনোলি পরামর্শ দিয়েছেন, এমন সম্পর্ককে পূর্ণবয়স্ক ও সমতাভিত্তিক করে তুলতে হলে আত্মসমীক্ষা জরুরি—"নিজের লাঞ্চ নিজে বানান," বলেছেন তিনি, ইঙ্গিতে বোঝাতে চেয়েছেন—নিজের ভেতরের শিশুসত্তাকে পেছনে ফেলে চাওয়াপাওয়ার ভার নিজের হাতে তুলে নিতে।