‘ধুরন্ধর’ ছবির ট্রেলার মুক্তির অনুষ্ঠানে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনাকে ঘিরে সম্প্রতি বিতর্কে জড়িয়েছিলেন প্রবীণ অভিনেতা রাকেশ বেদি। মুম্বইয়ে ছবির ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠানে ২০ বছরের অভিনেত্রী সারা অর্জুনকে কাঁধে চুমু দেওয়ার দৃশ্য ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয় সমালোচনা। তবে ছবি মুক্তির পর এই বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেতা নিজেই।
‘ধুরন্ধর’ ছবিতে পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ জামিল জামালির চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাকেশ। ছবিতে তাঁর অনস্ক্রিন মেয়ে ইয়ালিনা জামালির ভূমিকায় রয়েছেন সারা অর্জুন। সমালোচনার জবাবে অভিনেতা স্পষ্ট জানিয়েছেন, সারার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক পুরোপুরি পিতৃসুলভ।
এক সাক্ষাৎকারে ৭১ বছরের রাকেশ বলেন, “সারার বয়স আমার অর্ধেকেরও কম, আর ছবিতে সে আমার মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছে। শুটিংয়ের সময় আমাদের যখনই দেখা হত, ও আমাকে জড়িয়ে ধরত। যেমন একটি মেয়ে তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে। আমাদের মধ্যে সুন্দর একটা সম্পর্ক ও বোঝাপড়া রয়েছে, যা পর্দাতেও ধরা পড়েছে।”
সমালোচকদের উদ্দেশ্যে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “মানুষ কোনও জিনিসকে যে ভাবে দেখতে চায়, সেটা সেভাবেই দেখে। দেখার চোখেই যদি সমস্যা থাকে, তাহলে আর কী করা যায়?” তাঁর মতে, ট্রেলার লঞ্চের দিনেও তিনি ঠিক সেই স্নেহই দেখিয়েছেন, যা শুটিং চলাকালীন সেটে দেখিয়েছিলেন। কিন্তু মানুষ সেই স্নেহ দেখতে চায়নি।
রাকেশ আরও জানান, ওই অনুষ্ঠানে সারার বাবা-মা অভিনেতা রাজ অর্জুন ও সান্যাও উপস্থিত ছিলেন। তাঁর প্রশ্ন, “মেয়ের বাবা-মা সামনে থাকলে আমি কি কোনও খারাপ উদ্দেশ্যে মঞ্চে এমন কিছু করব?” তাঁর মতে, অহেতুক বিষয় নিয়ে বিতর্ক তৈরি করাই এখন সোশ্যাল মিডিয়ার অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নিজেকে প্রমাণ করার প্রয়োজন নেই বলেও জানান অভিনেতা। তিনি বলেন, “আমি নিজের হয়ে সাফাই দিচ্ছি না। আমার দীর্ঘ অভিনয় জীবন আর কাজই আমার হয়ে কথা বলে। সম্প্রতি এক নৈশভোজে এক মহিলা আমার কাছে এসে বলেছিলেন, তাঁর ছেলে শারীরিক ও মানসিকভাবে বিশেষভাবে সক্ষম হলেও আমার কাজ বুঝতে পারে ও ভালবাসে। এর চেয়ে বড় প্রমাণ আমার জন্য আর কিছু হতে পারে না।”
‘ধুরন্ধর’ -এর সাফল্যের পর নির্মাতারা ছবির দ্বিতীয় কিস্তিরও ঘোষণাও করেছেন। ‘ধুরন্ধর ২: রিভেঞ্জ ’ নামের সিক্যুয়েলটি আগামী ১৯ মার্চ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে। সেই সময়ই মুক্তি পাবে যশ অভিনীত ‘টক্সিক: এ ফেয়ারি টেল ফর গ্রোন-আপস’। যার ফলে বক্স অফিসে বড়সড় লড়াইয়ের ইঙ্গিত মিলছে।
