আজকাল ওয়েবডেস্ক: চেন্নাই টেস্টে ব্যাট ও বল হাতে দাপট দেখিয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। চাপের মুখে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন আবার বল হাতে ভেলকিও দেখিয়েছেন। বাংলাদেশের তামিম ইকবাল ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজ করেছেন ভারত-বাংলাদেশ টেস্ট সিরিজে। সেই তামিম কিন্তু ভারতের তারকা অফস্পিনারকে কোহলি ও রোহিতের সঙ্গে একই বন্ধনীতে রাখছেন। ভারতীয় ক্রিকেটের সাফল্যে রোহিত ও কোহলির যা অবদান, অশ্বিনেরও সেই একই অবদান বলে মনে করেন তামিম।
তামিম বলেছেন, ''অশ্বিন যা করেছে, তা সত্যিই অসাধারণ। স্বীকৃত ব্যাটারের মতো ব্যাটিং করেছে অশ্বিন। আমি অন্য দেশ থেকে এসেছি। সব সময়ে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মার কথাই শুনি। তবে আমার মতে রবিচন্দ্রন অশ্বিনও ওদেরই সমান। ভারতীয় দলে অশ্বিনের অবদান রোহিত-কোহলির মতোই।'' ঘটনা হল ভারত যখন বিপদে পড়ে তখনই অশ্বিন ত্রাতা হিসেবে ধরা দেন। কিন্তু প্রচারের সার্চলাইট গিয়ে পড়ে রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিদের উপরে। অশ্বিন থেকে যান পিছনের সারিতে।
চেন্নাইয়ে অশ্বিন একগুচ্ছ রেকর্ড গড়েন। বাংলাদেশকে মায়াজালে আচ্ছন্ন করেন। সেই সঙ্গে কিংবদন্তি শেন ওয়ার্নকে ছুঁলেন। আবার ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি কোর্টনি ওয়ালশকেও টপকে গেলেন।
প্রথম ইনিংসে বল হাতে উইকেট পাননি। দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর নামের পাশে ৬টি উইকেট। এ বার নিয়ে অশ্বিন পাঁচ উইকেট দখল করলেন ৩৭-বার।অজি কিংবদন্তিও টেস্ট ফরম্যাটে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন ৩৭-বার। অশ্বিনের আগে কেবল শ্রীলঙ্কার স্পিনার মুথাইয়া মুরলীধরন। দ্বীপরাষ্ট্রের স্পিনার টেস্টে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন ৬৭ বার।
এ তো গেল পাঁচ উইকেটের কথা। আরও এক পালক জুড়েছে অশ্বিনের মুকুটে। সব চেয়ে বয়স্ক ভারতীয় বোলার হিসেবে টেস্টে পাঁচ উইকেট নিয়ে নতুন এক নজির গড়লেন তিনি। ৩৮ বছর ৫ দিন বয়সে এর আগে কোনও ভারতীয় বোলারই পাঁচ-পাঁচটি উইকেট নিতে পারেননি টেস্ট ক্রিকেটে। তাঁর আগে বিনু মানকড় এই রেকর্ডের অধিকারী ছিলেন। ১৯৫৫ সালে পেশোয়ারে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩৭ বছর ৩০৭ দিন বয়সে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন মানকড়।
চেন্নাইয়ের প্রথম টেস্টে ৬ উইকেট নেওয়ায় অশ্বিনের টেস্ট উইকেটের সংখ্যা ৫২২। তিনি ছাপিয়ে যান ক্যারিবিয়ান পেসার কোর্টনি ওয়ালশকেও। ওয়ালশের টেস্ট উইকেটের সংখ্যা ৫১৯। টেস্টে সব থেকে বেশি উইকেট নেওয়ার ক্ষেত্রে অশ্বিন এখন আট নম্বরে।
