কয়েক বছর আগেও বাড়ির আশেপাশে নিত্যদিন শোনা যেত চড়াই পাখির কিচিরমিচির। কিন্তু সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে যেন ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে এই পাখি। চড়াইকে নিয়ে বাস্তুর কিছু ধারণা রয়েছে।
2
9
অনেকেরই এই পাখি ঘরের ভিতরে ঢুকলে কিংবা বারান্দা, জানালা অথবা ছাদের কোণে বাসা বাঁধলে মনে প্রশ্ন জাগে-এটা কি শুভ লক্ষণ, নাকি অশুভ কিছু ঘটার ইঙ্গিত?
3
9
লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, চড়ুই পাখি সাধারণত শুভ প্রতীক। বলা হয়, চড়ুই এমন জায়গাতেই আসে যেখানে পরিবেশ শান্ত, নিরাপদ ও ইতিবাচক। ঘরে চড়ুই এলে তা সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধির লক্ষণ বলে মনে করা হয়।
4
9
বিশেষ করে যদি চড়ুই ঘরের আশেপাশে বাসা বাঁধে, তাহলে সেটিকে পরিবারের জন্য ভাল সময় আসার ইঙ্গিত হিসেবে ধরা হয়। কেউ কেউ বিশ্বাস করেন, এতে আর্থিক উন্নতি বা সুখবর পাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।
5
9
আরও একটি প্রচলিত ধারণা হল, চড়ুইয়ের কিচির-মিচির শব্দ নাকি ঘরের নেতিবাচক শক্তি দূর করে। বাস্তু মতে, ছোট পাখির উপস্থিতি ঘরে ইতিবাচক শক্তির প্রবাহ বাড়ায়। তাই অনেক বাড়িতে ইচ্ছা করেই চড়ুইয়ের জন্য জল বা খাবার রাখা হয়।
6
9
তবে সব জায়গায় এই বিশ্বাস একরকম নয়। কয়েকজনের মতে, হঠাৎ পাখি ঘরের ভেতরে ঢুকে পড়া অপ্রত্যাশিত ঘটনার ইঙ্গিত হতে পারে। বিশেষ করে যদি পাখিটি আতঙ্কিত হয়ে এদিক-ওদিক উড়তে থাকে, তাহলে কেউ কেউ সেটিকে সতর্কবার্তা হিসেবে দেখেন। যদিও এই ধারণার কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই, তবু প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই বিশ্বাস চলে আসছে।
7
9
বিজ্ঞান কিন্তু বিষয়টিকে খুব সহজভাবে ব্যাখ্যা করে। চড়ুই এমন এক পাখি যা মানুষের কাছাকাছি থাকতে পছন্দ করে। খাবার, জল বা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে তারা ঘরের ভিতরে ঢুকে পড়তে পারে। জানালা খোলা থাকলে বা বারান্দায় খাবারের গন্ধ পেলে চড়ুই ঢোকা একেবারেই স্বাভাবিক। এর সঙ্গে ভাগ্য বা অশুভ-শুভের কোনও সম্পর্ক নেই।
8
9
সব মিলিয়ে বলা যায়, চড়ুই পাখি ঘরে এলে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। লোকবিশ্বাসে একে বেশিরভাগ সময়ই শুভ বলা হয়, আর বাস্তব দিক থেকে এটি প্রকৃতির স্বাভাবিক আচরণ।
9
9
পাখিটিকে আঘাত না করে শান্তভাবে বেরিয়ে যেতে সাহায্য করাই সবচেয়ে ভাল উপায়। কারণ চড়ুই শুধু সৌভাগ্যের প্রতীকই নয়, প্রকৃতির এক ছোট্ট এবং গুরুত্বপূর্ণ অংশও বটে।