খাবার শুধু স্বাদ আর পুষ্টির জন্যই নয়, অনেক সময় তা আমাদের শরীরের গন্ধের উপরও প্রভাব ফেলে। কিছু খাবার এমন আছে, যেগুলো খাওয়ার পর শরীরের ঘাম, নিঃশ্বাস বা মুখ থেকে এমন গন্ধ বেরতে পারে যা নিজের ও আশপাশের মানুষের অস্বস্তির কারণ হয়। অফিস, ভিড় বা সামাজিক অনুষ্ঠানে এই সমস্যায় ভুক্তভোগী অনেকেই। তাহলে জেনে নেওয়া যাক এমনই ৫টি খাবার সম্পর্কে, যেগুলো বেশি খেলে শরীরে দুর্গন্ধ বাড়তে পারে।

১. রসুন ও পেঁয়াজঃ রসুন ও পেঁয়াজ প্রায় সব রান্নাতেই ব্যবহৃত হয়। কিন্তু এগুলোতে রয়েছে সালফার জাতীয় উপাদান যা হজমের পর রক্তে মিশে যায়। পরে ঘাম ও শ্বাসের মাধ্যমে বেরিয়ে আসে। তাই রসুন-পেঁয়াজ বেশি খেলে মুখে তীব্র গন্ধ এবং শরীরেও কাঁচা গন্ধ থাকতে পারে।

২. ব্রকলি, বাঁধাকপি ও ফুলকপিঃ এই সবজিগুলো স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী হলেও, এক্ষেত্রেও থাকে সালফার। হজমের সময় এগুলো গ্যাস তৈরি করে, যার ফলে পেট ফাঁপা এবং শরীর থেকে অদ্ভুত গন্ধ বেরতে পারে। বিশেষ করে যাদের হজমের সমস্যা আছে, তাঁদের ক্ষেত্রে গন্ধটা আরও বেশি বোঝা যায়।

৩. রেট মিটঃ রেট মিট হজম হতে সময় নেয়। অনেক ক্ষেত্রে শরীর এই প্রোটিন পুরোপুরি ভাঙতে পারে না। ফলে ঘামের সঙ্গে এমন এক ধরনের গন্ধ বেরয়, যাকে অনেকেই ‘পচা’গন্ধ বলে মনে করেন।

৪. অতিরিক্ত ঝাল ও মশলাযুক্ত খাবারঃ ঝাল খাবার খেলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় এবং ঘাম বেশি হয়। এই ঘামের সঙ্গে মশলার গন্ধ মিশে গিয়ে শরীর থেকে তীব্র দুর্গন্ধ বেরতে পারে। মুখের শ্বাসেও এই গন্ধ দীর্ঘক্ষণ থেকে যায়।

৫. অ্যালকোহল ও কিছু সামুদ্রিক মাছঃ অ্যালকোহল শরীরে ভাঙার সময় এমন কিছু রাসায়নিক তৈরি করে যা ঘাম ও নিঃশ্বাসে গন্ধ সৃষ্টি করে। আবার কিছু মাছ খাওয়ার পর অনেকের শরীর ও ঘামে মাছের মতো গন্ধ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। 

কী করণীয়? এই খাবারগুলো পুরোপুরি বাদ না দিয়ে পরিমাণে নিয়ন্ত্রণ রাখুন। বেশি জল পান করুন, নিয়মিত স্নান করুন এবং মুখ ও দাঁতের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে খেয়াল রাখুন। তাহলেই দুর্গন্ধের সমস্যা অনেকটাই কমবে।