ঢাকের বাদ্যি বাজল বলে! বছর ঘুরে হাজির বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। সারা বছরের থোড় বড়ি খাড়া জীবনে এক আনন্দের ঢেউ দুর্গাপূজা। প্রিয়জনদের সঙ্গে হইহুল্লোর, জমিয়ে খাওয়াদাওয়া, নতুন জামার গন্ধে দেবীপক্ষের শুরু থেকেই ম ম করছে চারপাশ। যদিও এবার ‘অসুর’ হয়ে মাঠে নেমেছে বৃষ্টি। কিন্তু বাঙালির পুজোর বাঁধনছাড়া আবেগে বাধা দেয় কার সাধ্যি! বোধন থেকে বিসর্জন নয়, বেশ কয়েক বছর ধরে মহালয়া থেকেই শুরু হয়ে যায় পুজো মণ্ডপে ভিড়। বিশেষ করে বাড়িতে শিশু থাকলে অষ্টমী-নবমীর ভিড় এড়াতে আগেভাগেই ঠাকুর দেখার পর্ব সেরে নেন অনেকে। আসলে খুদে সদস্যের ঘুরতে যাওয়ার আগ্রহ অনেক বেশি থাকে। তাই তো নতুন পোশাক পরে প্যান্ডেলের ভিড়ের মধ্যে ঠাকুর দেখতেও ক্লান্ত হয় না তাঁরা। তবে প্রথমবার শিশুকে নিয়ে প্যান্ডেল হপিংয়ে বেরলে কিছু বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি। অভিভাবকেরা জেনে নিন সেই বিষয়ে।

•    শিশুর বয়স ১-৩ বছরের মধ্যে হলে তাকে নিয়ে ভিড়ে ঠাকুর দেখা বেশ ঝক্কির। প্রথমত এত ছোট শিশুকে নিয়ে খুব বেশিক্ষণ ভিড়ের মধ্যে ঘোরাঘুরি করা ঠিক নয়। তবে যদি একান্ত বেরোন তাহলে শিশুর জন্য ব্যাগে জিনিসপত্র রাখুন। ১-২ বছরের বাচ্চাদের বাইরের খাবার চলবে না। তাই বাড়িতেই খাবার বানিয়ে গুছিয়ে নিন। সঙ্গে রাখুন পর্যাপ্ত জলও। খুদের জন্য ব্যাগে অতিরিক্ত ডায়াপার, বেবি ওয়াইপস রাখতে হবে।

আরও পড়ুনঃ পুজোয় চুটিয়ে প্যান্ডেল হপিংয়ের প্ল্যান? আনন্দের মাঝে কীভাবে সুস্থ থাকবেন?

•    শিশুর বয়স পাঁচ বছরের মধ্যে হলে বাইরে খাওয়ার বায়না করতে পারে। পেট ভর্তি করে খাইয়ে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরোন। যাতে বাইরে খেলেও খুব বেশি খেতে না পারে। সম্ভব হলে বাড়ি থেকে খাবার তৈরি করে নিয়ে বেরতে পারেন। 

•    সন্তানের বয়স যদি ১০ বছরের মধ্যে হয় তাহলে তাঁর হেঁটে হেঁটে ঠাকুর দেখতে তেমন সমস্যা হবে না। তবে শুধু খেয়াল রাখতে হবে জুতো যেন হয় আরামদায়ক। নতুন জুতো পরে পায়ে ফোসকা পড়লে বিপদ। এছাড়া জলপান, খাওয়াদাওয়ার দিকে নজর তো রাখতে হবে। 

•    যে কোনও বয়সের শিশুকে হালকা সুতির পোশাক পরান। সকালে বেরেলে সানগ্লাস পরাতে পারেন। সন্তানের খুব ছোট বয়স হলে ব্যাগে অতিরিক্ত একটি জামা রাখতে পারেন। 

•    শিশুর জন্য মাস্ক, স্যানিটাইজার সঙ্গে রাখুন। শিশুর হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টের ধাত থাকলে সঙ্গে ইনহেলার ও প্রয়োজনীয় ওষুধ অবশ্যই রাখতে হবে।