আজকাল ওয়েবডেস্ক: আহমেদাবাদে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে হার্দিক শো। প্রথম ম্যাচের পর আবার পঞ্চম ম্যাচে। সিরিজ নির্ণায়ক ম্যাচে আবারও জ্বলে উঠলেন তারকা অলরাউন্ডার। মাত্র ১৬ বলে অর্ধশতরানে পৌঁছে যান হার্দিক। ঝোড়ো ইনিংসে ছিল ৫টি ছয়, ৪টি চার। স্ট্রাইক রেট ৩১৭. ৬৪। আহমেদাবাদে নতুন রেকর্ড। দ্বিতীয় ভারতীয় ব্যাটার হিসেবে দ্রুততম অর্ধশতরান। একনম্বরে যুবরাজ সিং। ১২ বলে অর্ধশতরান সম্পূর্ণ করেন। সেই ছয় ছক্কার ম্যাচ।এদিন যুবিকে মনে করান হার্দিক। ২৫ বলে ৬৩ রান করে আউট হন হার্দিক। ছয়ের বন্যা বইয়ে দেন। প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে শুরু করেন। ৫০ রানে পৌঁছন ছয় মেরেই। জর্জ লিন্ডের ওভারে ২৬ রান ওঠে। প্রোটিয়া স্পিনারকে পিটিয়ে ছাতু করেন হার্দিক। একটা সময় মাত্র ৭ বলে ৩১ রান ছিল তারকা অলরাউন্ডারের। প্রথম বল থেকেই রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন।
আরও একজনের কথা না বললেই নয়, তিনি তিলক বর্মা। হার্দিক ক্রিজে আসার আগেই সেট হয়ে যান বাঁ হাতি প্রতিভাবান ব্যাটার। ৪২ বলে ৭৩ রান করে রান আউট তিলক। দু'জনের ব্যাটে ভর করে রানের পাহাড়ে ভারত। ২০ ওভারের শেষে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ২৩১ রান টিম ইন্ডিয়ার। আহমেদাবাদে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ভারতের। ৩২ বলে অর্ধশতরান সম্পূর্ণ করেন তিলক বর্মা। ১৬ বলে ৫০ রানে পৌঁছে যান হার্দিক। পঞ্চম টি-২০ তেও টসে হার সূর্যকুমার যাদবের। ভারতকে ব্যাট করতে পাঠান আইডেন মার্করাম। আহমেদাবাদের পিচ ব্যাটিং সহায়ক। এখানে শিশিরের সম্ভাবনা নেই। সুতরাং, দ্বিতীয় ইনিংসে বল করতে সমস্যায় পড়বে না বোলাররা। মার্করামের সিদ্ধান্ত বুমেরাং হয়ে ফেরে। দক্ষিণ আফ্রিকাকে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল টিম ইন্ডিয়া। ৯ ওভারে ১০০ রানে পৌঁছয় ভারত। ১৮তম ওভারে দুশোর গণ্ডি পেরিয়ে যায়। তবে টি-২০ বিশ্বকাপের আগে একটাই চিন্তার বিষয়, সূর্যকুমারের ফর্ম। আরও একবার ব্যর্থ। মাত্র ৫ রান করেন। ভারত অধিনায়ক ছাড়া সবাই রান পায়। শেষ ৮ ওভারে ১১৬ রান তোলে ভারত।
টসে জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠান মার্করাম। চোটের জন্য পঞ্চম টি-২০ খেলতে পারেননি শুভমন গিল। তাঁর জায়গায় দলে ফেরেন সঞ্জু স্যামসন। প্রথম চার ম্যাচে বেঞ্চে থাকার পর সুযোগ পান। তার সদ্ব্যবহার করেন। ২২ বলে ৩৭ রান করেন। রান পান অভিষেক শর্মাও। ২১ বলে ৩৪ রান করেন। রান পাননি সূর্যকুমার। কিন্তু তাতে ভারতের কোনও ক্ষতি হয়নি। বাকি কাজটা সারেন হার্দিক এবং তিলক। শেষ ওভারে এসে ছক্কা এবং চার হাঁকান শিবম দুবেও।
