আজকাল ওয়েবডেস্ক: বড়দিনের আগে কোনও ধরনের শুনানি (হিয়ারিং) হচ্ছে না- এ কথা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) দপ্তর। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম দফার হিয়ারিং আগামী ২৬ ডিসেম্বর আপাতত ধার্য করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনও দিল্লি থেকে চূড়ান্ত নির্দেশ আসেনি।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, হিয়ারিং হবে মাইক্রো অবজার্ভারদের উপস্থিতিতে, যাতে কোনও ধরনের ফাঁক বা অনিয়ম না থাকে। মাইক্রো অবজার্ভাররা সরাসরি ইআরও-কে রিপোর্ট করবেন এবং সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ার দায়িত্বে থাকবেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। বড়দিনের আগে হিয়ারিং হবে না বলেই জানানো হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন আরও জানিয়েছে, হিয়ারিং সংক্রান্ত সমস্ত নথি অনলাইনে আপলোড করা হবে, যাতে প্রয়োজনে কমিশন সম্পূর্ণ তথ্য পর্যবেক্ষণ করতে পারে। এই হিয়ারিং পর্বে আনম্যাপ-এর আওতায় প্রায় ৩১ লক্ষ ভোটারের বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

অন্যদিকে, রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দপ্তর জানিয়েছে, কেন্দ্র থেকে এখনও কোনও এসওপি নোটিশ এসে পৌঁছায়নি। এসওপি নোটিশ এলে তবেই শুনানির দিন সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে আপাতত ২৬ ডিসেম্বরকে প্রথম হিয়ারিংয়ের দিন হিসেবে ধরা হয়েছে।

এদিকে বারুইপুর পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশনের জারি করা শোকজের উত্তরে সন্তুষ্ট না হওয়ার কারণে রাজ্য সিইও দপ্তরে জরুরি তলব করা হয় সংশ্লিষ্ট ইআরও ও এইআরও-দের। তাঁদের সঙ্গে  ২জন বুথ লেভেল অফিসারও উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ ওঠে, প্রথম বিএলও-কে সরিয়ে দ্বিতীয় বিএলও নিযুক্ত করা হলেও কাজের ক্ষেত্রে গাফিলতি হয়েছে। বাস্তবে কাজ করেছেন প্রথম বিএলও-ই। সেই অভিযোগ জমা পড়ার পরই সিইও দপ্তর এই তলব করে। বুধবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দপ্তরে বারুইপুর পূর্বের ১ জন ইআরও, ৩ জন এইআরও এবং ২ জন বিএলও হাজির হয়ে রিপোর্ট জমা দেন, যার উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত হবে বিএলও দের বিরুদ্ধে অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে। 

নির্বাচন কমিশন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বিশেষ নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়ার হিয়ারিং অর্থাৎ শুনানি পর্বে এআই পরিচালিত অ্যাপে একটি নতুন অপশন যুক্ত করা হয়েছে। এই অপশনের নাম ‘Not Needed for Hearing’। হিয়ারিং চলাকালীন প্রয়োজনে এই অপশন ব্যবহার করা হবে, যা ব্যবহার করবে বিএলও, নির্বাচন কমিশন সূত্রে এমনটাই খবর।

হিয়ারিং প্রক্রিয়ায় সিসিটিভি ক্যামেরা থাকছে না। তবে পুরো সময়জুড়ে মাইক্রো অবজার্ভারদের মাধ্যমে সম্পূর্ণ পর্যবেক্ষণ করা হবে। আলাদা করে কোনও অবজারভার নিযুক্ত করা হচ্ছে না। মাইক্রো অবজার্ভাররা প্রয়োজনে ইআরও বা ভিইও-কে রিপোর্ট করবেন এবং গুরুতর ক্ষেত্রে ইসিও মনোজ আগারওয়াল (আইএএস)-কেও রিপোর্ট করতে পারবেন বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কেন্দ্র থেকে প্রেরিত স্পেশাল রোল অবজার্ভার সুব্রত গুপ্ত বলেন, “আদালতে কি সব সময় সিসিটিভির প্রয়োজন হয়? আগেও তো আদালতে সিসিটিভির ব্যবহার ছিল না। সকলের উপর ভরসা রাখতে হবে।” তাঁর মতে, এই মুহূর্তে হিয়ারিং অর্থাৎ শুনানি পর্বে সিসিটিভির প্রয়োজন নেই বলেই মনে করছে নির্বাচন কমিশন। ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে ব্যবহার করা হবে কি না, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি।