আজকাল ওয়েব ডেস্ক:ইনটেনস্টাইনে খারাপ ও ভাল এই দু’ধরনের ব্যাকটিরিয়ার রেষারেষি সবসময় চলতে থাকে।খারাপ ব্যাকটিরিয়া জিতে গেলেই শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে
উপকারী ব্যাকটিরিয়া জিতলে সুস্থ থাকা যায়। এই ভাল ব্যাকটিরিয়ার ভারসাম্য বজায় রাখে প্রোবায়োটিক। আমাদের কোষ্ঠের স্বাস্থ্য রক্ষা করাও এর অন্যতম কাজ। সমগ্র শরীর কিন্তু এই পাচনতন্ত্রের উপরেই নির্ভরশীল।নিজেদের সুস্থ রাখতে রোজকার খাবারে প্রোবায়োটিক জরুরি।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার খেলে।অনেক সময়ে ডায়রিয়া হলে চিকিৎসকেরাও প্রোবায়োটিক সাপ্লিমেন্ট খেতে বলেন।শরীরে ক্যালশিয়াম শোষণ করতে সাহায্য করে প্রোবায়োটিক। ফলে ওরাল ক্যাভিটির মতো সমস্যাও দূরে থাকে।ঠিক মতো খিদে না হলে প্রোবায়োটিকের জোগান অ্যাপেটাইট ঠিক করে দেয়।শরীর কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন, মিনারেল... এই পাঁচটি স্তম্ভের উপরেই নির্ভরশীল।আর খাবার থেকে এই পুষ্টিগুণ শরীরে শোষণ করতে সাহায্য করে এই উপকারী ব্যাকটিরিয়া।
টক দই প্রোবায়োটিকের সবচেয়ে ভাল উৎস।রোজ খাবারে টক দই তো রাখাই যায়।বাটারমিল্কও খেতে পারেন।এতেও প্রোবায়োটিক থাকে ভাল পরিমাণে। টক দই দিয়ে লস্যি বা ঘোল বানিয়ে খেলে উপকার মিলবে।কিছু ধরনের চিজ়েও প্রোবায়োটিক থাকে।
তবে মনে রাখবেন, দীর্ঘদিন অ্যান্টিবায়োটিকের কোর্স করলে শরীরে প্রোবায়োটিকের সমতা নষ্ট হয়ে যায়।ফলে ডায়রিয়া বা পেটের গোলমাল দেখা দিতে পারে।তখন কিছু দিনের জন্য সাপ্লিমেন্ট খেতে হতে পারে।
যে সব আনাজপাতিতে প্রচুর পরিমাণে কীটনাশক ব্যবহার করা হয়, সেই ধরনের খাবার খেলেও প্রোবায়োটিকের ক্ষতি হয়।প্রোবায়োটিক শরীরের কোনও ক্ষতি করে না। অসুস্থতা থেকে বাঁচায়।শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও তৈরি করে। অসুখবিসুখ থেকে বাঁচাতে পারে।শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও তৈরি করে। সুতরাং প্রতিদিন আমরা যে সব ফল বা শাকসব্জি খাই, তার মাধ্যমে অনেক রাসায়নিক ঢোকে শরীরে।বাইরের প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে আমাদের অন্ত্রে খারাপ ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যাও বাড়ে। এই খারাপ ব্যাকটেরিয়াকেই নষ্ট করে প্রোবায়োটিক।
