আজকাল ওয়েবডেস্ক: চুল আর ত্বকের স্বাস্থ্যরক্ষার কথা উঠলেই অনেকের মাথায় আসে নামী দামি প্রসাধনীর কথা। কিন্তু সবার ক্ষেত্রে এই ধরনের দামি জিনিস ব্যবহার করার সামর্থ্য থাকে না। অনেকের আবার বাজারজাত প্রসাধনী মাখার ফলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয় ত্বকে। কিন্তু জানেন কি এমন একটি জিনিস আছে যা অতিসহজেই চুল এবং ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সহায়তা করে। আর পাওয়াও যায় হাতের কাছেই। এমনই একটি উপাদান কারি পাতা।

কারি পাতায় প্রচুর পরিমাণে বিটা-ক্যারোটিন এবং অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে, যা চুল পড়া রোধ করতে এবং সামগ্রিক চুলের ঘনত্ব বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ।

চুল কেরাটিন দিয়ে তৈরি, এটি এক ধরণের প্রোটিন । কারি পাতা শরীরকে প্রয়োজনীয় প্রোটিন ও এনজাইম সরবরাহ করে এবং কেরাটিন উৎপাদনে সহায়তা করে যা চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করে।
আরও পড়ুন: পাড়ার বৌদিদের অন্তর্বাস চুরি একের পর এক! চোরকে সামনে পেয়ে এ কী করলেন মহিলারা?

চুলের মেলানিন পুনরুদ্ধার করতে কারি পাতা ব্যবহার করা হয়। তাই আপনার খাদ্যতালিকায় এগুলি অন্তর্ভুক্ত করলে অকালে চুল পেকে যাওয়ার প্রবণতা কমবে এবং আপনি মনের মতো ঘন চুল পাবেন।
আরও পড়ুন: পাড়ার বৌদিদের অন্তর্বাস চুরি একের পর এক! চোরকে সামনে পেয়ে এ কী করলেন মহিলারা?
কারি পাতায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল যৌগগুলি টক্সিন বের করে দিতে এবং জমে থাকা রোধ করতে সাহায্য করে, যা আপনার মাথার ত্বককে সতেজ রাখে।
আরও পড়ুন: পাড়ার বৌদিদের অন্তর্বাস চুরি একের পর এক! চোরকে সামনে পেয়ে এ কী করলেন মহিলারা?
কারি পাতায় থাকা ভিটামিন এ, বি, সি এবং ই থাকে। এগুলি খেলে সময়ের সঙ্গে আপনার চুলের গঠন উন্নত হতে পারে। নিয়মিত সেবন করলে, এটি অল্প সময়ের মধ্যেই আপনার চুল মসৃণ এবং রেশমি করে তুলবে।

কারি পাতা শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, স্বাস্থ্য সম্পর্কিত অনেক সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতে পারে কারি পাতা। বিশেষ করে সুগারের রোগীদের জন্য কারি পাতা খুবই কার্যকরী। শরীরে গ্লুকোজ উৎপাদনে বাধা তৈরি করে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে কারিপাতা। এই পাতার নির্যাস ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি প্রতিরোধ করতে পারে। শরীরে ফ্রি র‌্যাডিক্যালের সমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এই উপাদানটি। অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বশে রাখে। রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বা ‘এলডিএল’ নিয়ন্ত্রণ করে এবং ‘এইচডিএল’ বা ভাল কোলেস্টেরল বাড়িয়ে তুলতে উদ্দীপকের মতো কাজ করে। খালি পেটে কারিপাতা খাওয়ার অভ্যাস কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের জন্যেও ভাল, স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।