আজকাল ওয়েবডেস্ক: যুবভারতী কাণ্ডে সিট গঠন করা হোক। তদন্ত কমিটি এই সুপারিশ করেছে। শনিবার সকালে যুবভারতীতে মেসি আসার পর শুরুতে সব ঠিকঠাকই ছিল। এরপর পরিস্থিতি একপ্রকার হাতের বাইরে চলে যায়। মেসিকে ঠিক করে দেখতে না পেয়ে গ্যালারিতে থাকা দর্শকরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। গ্যালারি থেকে মাঠে উড়ে আসতে থাকে জলের বোতল। ভাঙা চেয়ারও ছুঁড়ে মারা হয় মাঠে। বহু দর্শক মাঠে ঢুকে পড়েন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে মেসিকে নিয়ে বেরিয়ে যান আয়োজকরা। এরপরই মাঠের দখল নিয়ে নেন দর্শকরা। রীতিমতো তাণ্ডব চলে মাঠে। ছাউনি ভেঙে ফেলা হয়।
এরপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নির্দেশে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীমকুমার রায়ের নেতৃত্বে যুবভারতী কাণ্ডের তদন্ত করছে এই কমিটি। রবিবার কমিটির সদস্যরা মাঠ ও গ্যালারির বেশ কিছু জায়গা ঘুরে দেখেছেন। দু’দিনে তদন্ত কত দূর এগোল, তা নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীম রায়। জানালেন, লিওনেল মেসির সফরের দিন কারা দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, ‘সিট’ গঠন করে তদন্তের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে গোটা যুবভারতী কাণ্ডের।
নিয়ম ভেঙে কী করে জলের বোতল মাঠে ঢুকল, সেই প্রশ্নও তুলেছে কমিটি।
মঙ্গলবার সকালে সাংবাদিক বৈঠক করেন অসীমকুমার রায়। তিনি জানিয়েছেন, গোটা ঘটনায় নজরদারির অভাব রয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, ‘মাঠে খাবার, জলের বোতল ঢুকল কীভাবে?’ এটা ঘটনা যুবভারতীতে মাঠের ভিতর জলের বোতল নিয়ে ঢুকতে দেওয়া হয় না। তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘দায়িত্বপ্রাপ্তদের প্রশ্ন করে জানতে পেরেছি, স্টেডিয়ামের ভিতরে স্টল হয়েছিল। তবে এখনও সবটা তদন্তসাপেক্ষ। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, সেদিন যাঁরা দায়িত্বে ছিলেন, এটা তাঁদের দেখা উচিত ছিল। তাই সরকারের কাছে জানানো হয়েছে ওঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার।’
সোমবার রাতেই যুবভারতীকাণ্ডে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির তদন্ত কমিটি। কমিটির সদস্যদের মতে, মেসির কলকাতা সফরের বিষয়টি দেখাশোনার দায়িত্ব যাদের উপর ছিল তাদের থেকে এ বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ নিয়ে রিপোর্ট দিতে হবে। এর পাশাপাশি সিট গঠন করে তদন্তের সুপারিশ করা হয়েছে। সিটে কারা থাকবেন, তা সরকারিভাবে ঠিক করা হবে।
টিকিট ফেরতের বিষয়ে কমিটি জানিয়েছে, পরবর্তীতে এ বিষয়ে সুপারিশ করা হতে পারে।
