আজকাল ওয়েবডেস্ক: হাসপাতালের শৌচালয়ে সদ্যোজাত কন্যার নিথর দেহ। হাসপাতালের শৌচালয়ের কমোড থেকে সদ্যোজাত কন্যার দেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিজেপি শাসিত রাজ্যে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়াড়া জেলায়। পুলিশ জানিয়েছে, পরসিয়া সিভিল হাসপাতালের এক শৌচালয়ের কমোড থেকে এক সদ্যোজাতর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার রাতে ওই হাসপাতালে কমোডের থেকে সদ্যোজাত কন্যার দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই হাসপাতালের এক মহিলা কর্মীর নজরে বিষয়টি প্রথমে পড়ে। কমোডে ফ্লাশ করার সময় লক্ষ করেন, ঠিক মতো জল বেরোচ্ছে না। কমোডের খুঁটিনাটি দেখতে গিয়েই সদ্যোজাত কন্যার মাথা ও হাত নজরে পড়ে তাঁর। তড়িঘড়ি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশে খবর দেওয়া হয় এরপর।
ঘটনাস্থলে পৌঁছেই তন্নতন্ন করে তল্লাশি অভিযান শুরু করে পুলিশ। কোনও মহিলা কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হয়। কিন্তু এমন কোনও মহিলার সন্ধান পাওয়া যায়নি হাসপাতালের মধ্যে। পুরকর্মী ও হাসপাতালের কর্মীদের সাহায্যে কমোভটি ভেঙে ফেলে, সদ্যোজাতর দেহ উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, ওপিডির সময় কোনও গর্ভবতী তরুণী হাসপাতালে ঢুকেছিলেন। এরপর ওই শৌচালয়ে ঢুকে কাউকে না জানিয়ে সন্তান প্রসব করেন তিনি। এরপর সদ্যোজাত কন্যাসন্তানের দেহ কমোডে ফেলে পালিয়ে যান। কী কারণে সদ্যোজাত সন্তানকে কমোডে ফেলে পালিয়ে গেলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। জন্মের সময়েই মৃত্যু হয়েছিল নাকি খুন করা হয়েছিল, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত বছর জুলাই মাসে এমন আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল। পুত্রসন্তানের আকাঙ্ক্ষা ছিল। কন্যাসন্তানের জন্ম দেওয়ার পর চরম পদক্ষেপ করেন মা। ন'দিনের সদ্যোজাতর গলা কেটে খুন করেন তিনি। জেরায় খুনের ঘটনাটি স্বীকার করেছেন ঘাতক মা। শনিবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে দিল্লির বাবা হরিদাস কলোনিতে। গোবিন্দ নামের এক ব্যক্তি থানায় এসে পুলিশকে জানান, তাঁর স্ত্রী ন'দিনের কন্যাসন্তানের গলা কেটে খুন করেছেন। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। আবাসনের দ্বিতীয়তলায় একটি ঘর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। অন্য একটি ঘর থেকে মহিলাকে আটক করে তারা।
টানা দুইদিন জেরার পর তরুণী স্বীকার করেন, সদ্যোজাত কন্যাসন্তানের গলা কেটে তিনি খুন করেছেন। কারণ, কন্যাসন্তান তিনি চাননি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, গোবিন্দ পেশায় শ্রমিক। তাঁর একটি ছেলে আছে। বাড়িতে স্ত্রী, সন্তান ছাড়াও মা, ভাইও থাকেন। অভাব অনটন রয়েছে সংসারে। এই পরিস্থিতিতে কন্যাসন্তানের জন্ম মেনে নিতে পারেননি তরুণী।
