আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রতিটি বীজের একটি প্রধান টার্গেট থাকে। জলের কাছে যাওয়া, পুষ্টি পাওয়া এবং মাটির ওপরে সোজা হয়ে থাকা। তবে বীজের এই কাজটি প্রথম থেকেই যে করে থাকে তার নাম কাণ্ড। বীজ থেকে গাছ বের হওয়ার প্রথম দিন থেকেই এই কাজটি করে থাকে কাণ্ড।


মাটি যতই শক্ত হোক না কেন গাছের কাণ্ড তাকে ভেদ করে এগিয়ে যেতে থাকে। যেখান থেকে সে জলের উৎস খুঁজে পায়। সেখানেই সে থেমে যায় এবং সেখান থেকে গাছকে জল দিতে থাকে। গবেষকরা মনে করছেন গাছকে বেড়ে ওঠার জন্য সবথেকে দরকারি ভূমিকা গ্রহণ করে তার কাণ্ড। তাই মাটির ওপরে গাছের যে অংশ থাকে তার থেকে অনেক বেশি দরকারি হল গাছের নিচের অংশ।


কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এই কাজকে আরও গতি দিয়েছেন। তারা মনে করছেন যদি মাটির নিচে জলের পরিমান কমতে থাকে তাহলে সেখান থেকে গাছ আর দরকারি পুষ্টি পাবে না। গাছের পুষ্টি সেখানে বিঘ্নিত হবে। গাছটি তার নিজস্ব ছন্দে বাড়তে পারবে না।


গাছের ওপরের অংশ যতটা বাড়ে তার থেকে নিচের অংশ অনেক বেশি বাড়তে থাকে। ফলে একটি বিরাট গাছকে যদি কেটে ফেলা হয় তাহলে দেখা যাবে তার নিচের অংশ ওপরের অংশের তুলনায় অনেক বেশি বড়। কারণ সেটি মাটির অনেক গভীরে প্রবেশ করেছে। 


মাটির নিচে সাপের মতো এগিয়ে যেতে থাকে গাছের কাণ্ড। যেখানে সে শক্ত মাটি পায় সেখান থেকে সরে গিয়ে সে নরম মাটির দিকে যেতে থাকে। এটি কাণ্ডের এমন একটি বৈশিষ্ট্য যা গাছের বৃদ্ধিকে সহজ করে থাকে।


গাছের কাণ্ডের এই ধারা প্রতিটি ক্ষেত্রেই চলতে থাকে। তবে জলের নিচে যেসব গাছ থাকে তারা শুরু থেকেই জল পায়। ফলে সেখানে দেখা যায় কাণ্ড বেশি গভীরে যায় না। কারণ সেখানে বেশি গভীরে যাওয়ার তার দরকার হয় না। সে আগে থেকেই জল পেয়ে যায়।