আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় চীনা ভিডিও অ্যাপ টিকটক এখন কূটনৈতিক সংঘাতের কেন্দ্রে। ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জোরালোভাবে দাবি করা হয়, চীনা কোম্পানি বাইটড্যান্সকে টিকটকের মালিকানা বিক্রি করতে হবে না হলে এটি আমেরিকায় সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হবে। আগামী ১৯ জুনের মধ্যে সিদ্ধান্ত না হলে অ্যাপটি যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ হওয়ার মুখে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি শুধু একটি অ্যাপের নিরাপত্তা ইস্যু নয়, বরং বিশ্বের ডিজিটাল শক্তির ভারসাম্য নিয়ে বড় ধরনের প্রশ্ন।

যুক্তরাষ্ট্রের আশঙ্কা, বাইটড্যান্স চীনা সরকারের নির্দেশে মার্কিন ব্যবহারকারীদের তথ্য হস্তান্তর করতে পারে বা অ্যালগরিদম ব্যবহার করে মতপ্রকাশ প্রভাবিত করতে পারে। যদিও এসব অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি, তা সত্ত্বেও রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে। টিকটকের “ফর ইউ” ফিড তার ব্যবহারকারীর মাইক্রো-ইন্টারঅ্যাকশন বিশ্লেষণ করে কনটেন্ট পরিবেশন করে, যা অত্যন্ত আসক্তিকর এবং মতামত গঠনে গভীর প্রভাব ফেলতে সক্ষম।

এই পরিস্থিতিতে তিনটি সম্ভাব্য পরিণতি সামনে আসছে—১) মার্কিন মালিকানায় বিক্রি, ২) সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা, অথবা ৩) দীর্ঘ আইনি লড়াই।বিশ্লেষকরা বলছেন, টিকটক এখন শুধু একটি সোশ্যাল মিডিয়া নয়, বরং বিশ্ব রাজনীতির “ডিজিটাল যুদ্ধক্ষেত্র”। বিশ্বজুড়ে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ও অ্যালগরিদমের নিরপেক্ষতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য আন্তর্জাতিক নীতির দাবি উঠেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, প্রশ্ন এখন আর টিকটক টিকে থাকবে কি না, বরং প্রশ্ন হলো—ডিজিটাল দুনিয়ায় গণতন্ত্র, তথ্যসুরক্ষা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা কতটা সম্ভব?