আজকাল ওয়েবডেস্ক: শুক্রবার থেকে শুরু হল বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল ট্রেড ফেয়ার। এই মেলার মূল লক্ষ্যই হল সাধারণ মানুষের কাছে স্বদেশী জিনিসপত্র পৌছে দেওয়া। যাতে দেশীয় শিল্পের অগ্রগতি হয়, রপ্তানি বাড়ে। এবারে ট্রেড ফেয়ার অনুষ্ঠিত হচ্ছে উত্তর কলকাতার বাগবাজার সর্বজনীন দুর্গোৎসবের মাঠে। 

এবারের মেলায় প্রায় একশোর ওপর স্টল রয়েছে। বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি অশোক কুমার বণিক জানান, 'ইন্ডোর চায়না এবারের মেলায় বিশেষ আকর্ষণ। চেম্বার অফ কমার্সের মেলায় প্রায় ২০ বছর পর চীনের জিনিসপত্র থাকছে। মুর্শিদাবাদ, বাংলার খাদি থাকছে। গোটা মেলা জুড়ে অন্ততপক্ষে ১৫০ স্টল রয়েছে। শুধু পশ্চিমবঙ্গ খাদির ৩০টি স্টল রয়েছে।' 

শুক্রবার থেকে উদ্বোধন হলেও শনিবার থেকে পুরোদমে চালু হয়ে যাবে এবারের ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল ট্রেড ফেয়ার। চলবে আগামী ১ জানুয়ারি পর্যন্ত। বিভিন্ন দোকানের পাশাপশি থাকছে ফুড কোর্ট, কিডস জোনের ব্যবস্থা। এদিন উদ্বোধনের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিল্প মন্ত্রী ডঃ শশী পাঁজা, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এবং পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল শ্যামল কুমার সেন, বিএনসিসিআইয়ের এডুকেশন কমিটির সদস্য দেবদূত রায়চৌধুরী সহ বিশিষ্ট অতিথিরা। 

রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল জানান, 'বিএনসিসিআই অনেক পুরনো প্রতিষ্ঠান। কংগ্রেস যখন তৈরি হল তখন সকলের মনে ভাবনা এসেছিল ভারতীয় শিল্পকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। তার কয়েক বছর পরেই তৈরি হয় এই সংস্থা। ফুলিয়ার শাড়ি এখন অনেক বেশি রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে। দেশের স্বার্থে এইসব সংস্থা কাজ করে চলেছে। আমি আশাবাদী, আগামী দিনেও এভাবেই তারা কাজ করে যাবে।' 

মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, 'বৃহস্পতিবার বিজনেস কনক্লেভ হল। মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, বিএনসিসিআইয়েরও অনেকে ছিলেন। সেটাও সফল হয়েছে। বাংলায় ট্রেডিং, ই-কমার্স, রিটেল এগুলো বরাবর প্রাধান্য পেয়ে এসেছে। সম্প্রতি এই ধরনের একাধিক অনুষ্ঠান হয়েছে বাংলায়। নেতাজি ইনডোরে কিছুদিন আগে ফেস্টিভ্যাল ফেয়ারও হয়েছে।' 

বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স যেভাবে জেলাস্তরের মানুষদের নিয়ে কাজ করেন তারও প্রশংসা করেন রাজ্যের মন্ত্রী। তিনি জানান, 'আন্তর্জাতিক তো বটেই, দেশীয় এমন কী জেলা স্তরের মানুষরা এই মেলায় এসেছেন। তাঁরা এখানে তাঁদের শিল্প তুলে ধরেছেন। মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, মেদিনীপুর, নদিয়া থেকে শুরু করে বাংলার বিভিন্ন জেলার শিল্পকর্ম এই মেলায় নিয়ে এসেছেন সেখানকার বাসিন্দারা। 

১১ দিন ব্যাপী এই মেলায় প্রচুর ভিড় হবে আশা করছি।' তিনি জানান, হ্যান্ডলুম, টেক্সটাইল থেকে শুরু করে বিভিন্ন জেলার খাবারও রয়েছে এখানে। এমন কী, রাজ্য সরকারের তরফে যে বিশেষ ট্রেড পোর্টাল খোলা হয়েছে তা নিয়েও যেন মেলায় আলোচনা হয় সেকথা আয়োজকদের জানান। তাতে ব্যবসায়ীদের সুবিধা হবে ভবিষ্যতে। উদ্বোধনের দিন খুব বেশি ভিড় না হলেও ছুটির আমেজে বঙ্গবাসী যে এই মেলায় ভিড় জমাবে সে কথাও জানান বিধায়ক। এদিন তিনি নিজেই মেলার একাধিক স্টল ঘুরে দেখেন। জানান, এর মাঝেই আরও একদিন আসবেন ট্রেড ফেয়ারে।