আজকাল ওয়েবডেস্ক: অক্টোপাস নিজের রহস্য নিজের কাছেই রাখতে ভালবাসে। সহজে সে নিজের রহস্য অন্য কারও কাছে শেয়ার করে নিতে চায় না। এটাই তাদের চরিত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য। এলিয়ানদের মতোই তারা নিজের মধ্যে অনেক রহস্য রেখে দেয়। তাদের একটি নার্ভাস সিস্টেম নজরে পড়েছে বিজ্ঞানীদের। এই সিস্টেম দিয়েই তারা নিজেদের হাতগুলিকে পরিচালনা করে। এমনকি দেখা গিয়েছে যে কখনও যদি তাদের মস্কিষ্ক কাজ করা বন্ধ করেও দেয় তাহলেও এই সিস্টেম তার হাতগুলিকে দিয়ে কাজ করিয়ে নেবে।
যেহেতু অক্টোপাসের দেহটি একেবারে নরম। তাই তাদের দেহে এই ধরনের নার্ভাস সিস্টেম অতি সহজেই কাজ করে। ফলে নিজেকে অন্যভাবে কাজে লাগাতে এই সিস্টেম অনেকটাই কার্যকরী। অক্টোপাসের নার্ভাস সিস্টেম পৃথিবীর সকল প্রাণীদের থেকে আলাদা। পৃথিবীর অন্য বুদ্ধিমান প্রাণীদের মতোই অক্টোপাসের এই বুদ্ধি তাকে সকলের থেকে আলাদা করেছে। একটি হিসাব থেকে দেখা গিয়েছে অক্টোপাসের ৮ টি বাহুতে ৫০০ মিলিয়ন নিউরোন রয়েছে যা অন্য কোনও প্রাণীর নেই। এত নিউরোন অক্টোপাসের মাথাতেও থাকে না।
অক্টোপাসের হাতগুলি নিজে থেকেই কাজ করে। তারা নিজের মতো দিক নির্ধারণ করে। প্রতিটি হাতের স্বাধীন ক্ষমতা থাকে। এগুলিতে হাজার হাজার শোষক থাকে। এই শোষকগুলি পরিবেশকে নিজের মতো করে চিনে নেয়। ফলে পরিবেশ অনুসারে অক্টোপাস নিজের মতো করে আকার বা রং ধারণ করতে পারে।
প্রতিটি বাহুতে যে পরিমান জোর থাকে তাকে কাজে লাগিয়ে অক্টোপাস যেকোনও প্রাণীর দেহ থেকে মাংস বা চামড়া খাবলে নিতে পারে। যখনই অক্টোপাস কোনও বস্তুকে নিজের নাগাল পায় তখনই তাকে জড়িয়ে ধরতে চায়। এরপর তার শোষকের হাত থেকে নিজেকে ছাড়ানো প্রায় অসম্ভব।
যারা অক্টোপাস খেতে ভালবাসেন তারা সরাসরি এই নিউরোনকে খেতে পারেন। অক্টোপাসের বাহুগুলিতে যে পরিমান নিউরোন থাকে সেগুলি মানুষের দেহে অতিরিক্ত শক্তি তৈরি করে। এই নিউরোনগুলির কার্যকারিতা অনেক বেশি। মানুষের দেহের পক্ষে এগুলি অনেক বেশি উপকারী। নার্ভের রোগ থেকে পেতে পারেন মুক্তি।
