আজকাল ওয়েবডেস্ক: থাইল্যান্ড-মায়ানমার সীমান্তের কাছে তাক প্রদেশের একটি গ্রামে এক অদ্ভুত ঘটনা। জানা গিয়েছে, প্রায় তিন দিন ধরে এলাকারই একটি কুয়োর ভেতর থেকে রহস্যময় আওয়াজ শুনতে পাচ্ছিলেন এলাকাবাসী। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন অনেকেই। তাঁদের ধারণা ছিল, কুয়োতে কোনও অশুভ আত্মা বা ভূত আশ্রয় নিয়েছে। আওয়াজ ক্রমশ বেড়ে চলায় কেউই ধারে কাছে যেতে সাহস পাননি। পাশাপাশি, গ্রামের পাশের জঙ্গলের মধ্যে থাকা ওই কুয়োর কাছে রাতের অন্ধকার ও বন্য প্রাণীর ভয়ও ছিল। কিন্তু আওয়াজ না থেমে ক্রমশ জোরালো হতে থাকে। অবশেষে পুলিশকে খবর দেওয়া হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফে।
পুলিশের তদন্তে সামনে আসে এক ভয়ানক ঘটনার খবর। তদন্তে জানা যায়, কুয়োর ভেতরের ওই ভুতুড়ে আওয়াজ আসলে ভেতরে আটকে পড়া এক ব্যক্তির আর্তনাদ। ওই ব্যক্তি, ২২ বছরের এক চীনা যুবক, তিন দিন আগে ওই কুয়োর ১২ মিটার গভীরে পড়ে গিয়েছিলেন। তাঁর হাতে চোট লেগে কবজি ভেঙে যায় এবং শরীরে একাধিক ক্ষত হয়। তিন দিন ধরে কুয়োর ভেতরে আটকে ছিলেন তিনি। খাবার তো দূরের কথা, জোটেনি সামান্য জলও।
এলাকাবাসীর কাছে সাহায্যের জন্য চিৎকার করছিলেন। কিন্তু গ্রামবাসীরা ভূতের ভয়ে কুয়োর কাছে যেতে সাহস পাননি। আওয়াজ ক্রমশ বেড়ে যাওয়ায় তারা বাধ্য হয়ে পুলিশকে ডেকে পাঠান। যুবককে উদ্ধার করার পর তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। কীভাবে ওই যুবক কুয়োতে পড়লেন তা জানতে পুলিশও তদন্ত করছে। তবে ওই যুবক বর্তমানে নিরাপদে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গ্রামবাসীদের আতঙ্কের ভুতুড়ে আওয়াজের রহস্যের সমাধান হয়েছে।
