আজকাল ওয়েবডেস্ক: শীতের আগে থেকেই একগুচ্ছ পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেছিল দিল্লি সরকার। কিন্তু তাতে সুরাহা কিছু মিলল না, উৎসবের পরবর্তী পরিস্থিতি দেখে সেকথা স্পষ্ট। গত কয়েকদিন ধরে এক নাগাড়ে কঠিন পরিস্থিতিতে দিল্লিতে। বুধবার সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে, শুধু দিল্লি নয়, নয়ডা, গাজিয়াবাদ, গুরুগ্রাম, ফরিদাবাদও কালো ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা। অতিষ্ঠ প্রাণ।


তথ্য বলছে, দিল্লির কিছু জায়গার একিউআই ছাড়িয়ে গিয়েছে ৪০০। স্বাভাবিক ভাবেই এই পরিস্থিতির অর্থ, সেখানকার বাতাসের মান খুব খারাপ। গ্রেডেড  রেসপন্স অ্যাকশন  প্ল্যানের দ্বিতীয় পর্যায়ে দিল্লিতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করেছিল সেখানকার সরকার। নির্মাণের জায়গায় ধুলো নিয়ন্ত্রণ থেকে রাস্তায় জল ছিটিয়ে দেওয়া, সব ছিল তার মধ্যে। যদিও তাতেও কোনও সুরাহা হল না। তথ্য বকহে শুধু দিল্লি নয়, সমগ্র ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমিতে বাতাসের দূষণের হার বাড়ছে দিনে দিনে। বুধবার সকালে তথ্য বলছে, দেশের দশটি দূষিত শহরের তালিকায় দিল্লি ছাড়াও রয়েছে বিহারের তিনটি শহর, হরিয়ানার দুটি সহিত এবং চণ্ডীগড়। 

দিল্লির পরিস্থিতি প্রসঙ্গে অনেকেই মনে করাচ্ছেন পাকিস্তানের অবস্থা। সেখানে বেশকিছু জায়গায় বাতাসের একিউআই মাত্র ২০০০ ছুঁয়ে ফেলেছে। ইউনিসেফ আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, এই মুহূর্তে সে দেশে পাঁচ বছরের নিচে যেসব শিশুরা বেড়ে উঠছে, তাদের শরীরে বাসা বাঁধছে সমস্যা। গর্ভবতীদের নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। চিন্তা বেড়েছে নাসার প্রকাশ করা কালো চাদরে ঢাকা পাকিস্তান দেখে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পাঞ্জাব প্রদেশে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ স্কুল।