মিল্টন সেন, হুগলি,১৯ ডিসেম্বর: শুক্রবার দামাল বাংলা হুগলি জেলা কমিটির ডাকে চুঁচুড়া ঘড়ির মোরে সারাদিন ব্যাপি ধর্না অবস্থান অনুষ্ঠিত হয়। এই ধর্নায় উপস্থিত ছিলেন সাহিত্যিক ও এনআরসি সিএএ গবেষক মানিক ফকির, আসাম এনআরসি বিরোধী আন্দোলনের নেতা চন্দন চ্যাটার্জি,  বিধায়ক অসিত মজুমদার, চুঁচুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমিত্র ঘোষ, দামাল বাংলার কার্যকর্তা প্রাক্তন বিধায়ক মানস মজুমদার, জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী মৌসুমী বসু চ্যাটার্জী সহ হুগলি জেলা পরিষদের সদস্য ও পুরসভার কাউন্সিলররা। 

দামাল বাংলার দাবি, সংবিধানের ৬ এর খ ধারাকে তুলে দিয়ে ক ধারা লাগু করে আজ পর্যন্ত বহু তপশিলি মতুয়া মতুয়া নমঃশূদ্র এদেশে বংশপরম্পরায় বসবাস করছেন। আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া এই মানুষদের নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দিতে হবে।

 মানিক ফকির চন্দন চ্যাটার্জিরা এদিন বলেন, এসআইআর এর আড়ালে সিএএ করতে চাইছে কেন্দ্র সরকার। সরাসরি নাগরিকত্ব আইন করতে গেলে অনেক বিভ্রান্তি হবে। বাঙালিরা একজোট হবে। তাই এসআইআর এর মাধ্যমে সেটা করতে চাইছে। সিএএ হলে বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে ক্ষতি হবে। এসআইআর হওয়ার আগে বিজেপি বলেছিল কোটি লোকের নাম বাদ যাবে। তারা সব রহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারী। অথচ কি দেখা গেলো সবচেয়ে বেশি নাম বাদ গেলো বাঙালি হিন্দুদের। দেশভাগ যারা করেছে দায় তাদের নিতে হবে। আম্বেদকর বলেছিলেন অখন্ড ভারতে যাঁরা ছিলেন খন্ডিত ভারতেও তাঁরা নাগরিক হবেন। প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করে আইন করতে হবে, যাঁরা দেশ ভাগের কারণে ওপার বাংলা থেকে এসেছেন তাঁদের নিঃশর্তে নাগরিকত্ব দিতে হবে৷ 

ছবি পার্থ রাহা।