আজকাল ওয়েবডেস্ক: খাবারের মান ভাল না মন্দ তা বুঝতে আমরা অনেক সময় খাবারের উৎস, তেল বা মশলার দিকে খেয়াল রাখি। কিন্তু একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক প্রায়শই এড়িয়ে যাই- রান্নার বাসন। যে ধাতুর পাত্রে রান্না হয়, তার প্রভাব সরাসরি খাবারের গুণগত মানে পড়ে। অনেক সময় অজান্তেই এই ধাতুগুলি থেকে নির্গত বিষাক্ত উপাদান খাবারে মিশে যায়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দীর্ঘদিন এমন খাবার খেলে শরীরে টক্সিন জমতে জমতে ক্যানসারের মতো জটিল রোগের ঝুঁকি তৈরি হয়।
আরও পড়ুন: পাড়ার বৌদিদের অন্তর্বাস চুরি একের পর এক! চোরকে সামনে পেয়ে এ কী করলেন মহিলারা?
অ্যালুমিনিয়াম: অ্যালুমিনিয়ামের হাঁড়ি-কড়াই হালকা, সহজলভ্য এবং তুলনামূলক সস্তা। তাই বহু পরিবারেই এগুলি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু চিকিৎসক ও গবেষকদের মতে, অ্যালুমিনিয়ামের বাসন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ, টক জাতীয় খাবার (যেমন টমেটো, লেবু, তেঁতুল) রান্না করলে অ্যালুমিনিয়ামের সঙ্গে এগুলির বিক্রিয়া হয় এবং এই ধাতু দ্রবীভূত হয়ে খাবারে মিশে যায়। শরীরে অতিরিক্ত অ্যালুমিনিয়াম জমলে মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এবং দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকলে কোষে বিষক্রিয়া ঘটতে পারে যা ক্যানসারের আশঙ্কা বাড়ায়।
আরও পড়ুন: পাড়ার বৌদিদের অন্তর্বাস চুরি একের পর এক! চোরকে সামনে পেয়ে এ কী করলেন মহিলারা?
তামা: তামার বাসন ভারতীয় রান্নাঘরের দীর্ঘদিনের সঙ্গী। অনেকেই বলেন, তামার পাত্রে জল রাখা উপকারী। তবে সরাসরি তামার হাঁড়িতে রান্না করলে বিপদ বাড়তে পারে। বিশেষ করে অম্ল খাবার রান্নার সময় তামা দ্রবীভূত হয়ে খাবারে মিশে যায়। কপার শরীরে স্বল্প পরিমাণে দরকার হলেও অতিরিক্ত কপার লিভার, কিডনি ও পাকস্থলীর ক্ষতি করে। গবেষকরা সতর্ক করেছেন, দীর্ঘমেয়াদে এভাবে শরীরে কপার জমলে কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটতে পারে, যা ক্যানসারের অন্যতম কারণ। তাই তামার পাত্র ব্যবহার করতে হলে ভেতরে টিন বা স্টিলের প্রলেপ থাকা আবশ্যক।
লোহার কড়াই: অনেকেই মনে করেন লোহার কড়াইতে রান্না করলে খাবারের স্বাদ বাড়ে এবং আয়রন শরীরে যায়। কিছুটা সত্যি হলেও এখানেও সতর্কতার প্রয়োজন। মরচে ধরা বা অতিরিক্ত ব্যবহারে ক্ষয় হওয়া কড়াই থেকে ক্ষতিকর আয়রন অক্সাইড খাবারে মিশে যায়। শরীরে অতিরিক্ত আয়রন জমলে লিভার ও অন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এবং কোষে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়তে পারে। সুতরাং, লোহার কড়াই ব্যবহার করলে অবশ্যই নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে এবং মরচে পড়া কড়াই ফেলে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: পাড়ার বৌদিদের অন্তর্বাস চুরি একের পর এক! চোরকে সামনে পেয়ে এ কী করলেন মহিলারা?
নন-স্টিক বাসন: নন-স্টিক বাসনের সুবিধা অনেক। কম তেল লাগে, খাবার লেগে যায় না। কিন্তু এর কোটিংয়ে ব্যবহৃত হয় টেফলন। অতিরিক্ত আঁচে গরম হলে বা প্রলেপ উঠে গেলে এই টেফলন থেকে পারফ্লুরোঅক্টানোইক অ্যাসিড নামক বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ নির্গত হয়। এটি শরীরে গেলে লিভার ও কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই উপাদান ফুসফুস, কিডনি বা স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই বিশেষজ্ঞদের মতে, আঁচে পোড়া বা ক্ষয় হওয়া নন-স্টিক কড়াই অবিলম্বে বদলে ফেলা উচিত।
আরও পড়ুন: পাড়ার বৌদিদের অন্তর্বাস চুরি একের পর এক! চোরকে সামনে পেয়ে এ কী করলেন মহিলারা?
স্টেইনলেস স্টিল: নিরাপদ কিন্তু…
স্টেইনলেস স্টিলকে সাধারণত নিরাপদ ধরা হয়। তবে শর্ত একটাই - স্টিল যেন ভাল মানের হয়। নিম্নমানের স্টিল থেকে নিকেল ও ক্রোমিয়াম খাবারে মিশে যেতে পারে। অতিরিক্ত নিকেল শরীরে অ্যালার্জি তৈরি করে এবং দীর্ঘ দিন ধরে শরীরে গেলে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই ফুড-গ্রেড স্টিল ব্যবহার করাই শ্রেয়।
আরও পড়ুন: পাড়ার বৌদিদের অন্তর্বাস চুরি একের পর এক! চোরকে সামনে পেয়ে এ কী করলেন মহিলারা?
কোন কোন বাসন নিরাপদ?
চিকিৎসকরা বলেন, কাঁচের পাত্র, ফুড-গ্রেড সেরামিক, মানসম্মত স্টেইনলেস স্টিল এবং মাটির হাঁড়ি সবচেয়ে নিরাপদ। এগুলিতে বিষাক্ত ধাতব আয়ন খাবারে মেশে না। ফলে দীর্ঘদিন ব্যবহার করলেও ক্যানসারের আশঙ্কা থাকে না।
আরও পড়ুন: পাড়ার বৌদিদের অন্তর্বাস চুরি একের পর এক! চোরকে সামনে পেয়ে এ কী করলেন মহিলারা?
সবমিলিয়ে অ্যালুমিনিয়াম, অপরিষ্কার তামা, মরচে পড়া লোহা কিংবা ক্ষয় হওয়া নন-স্টিক কড়াই থেকে ক্যানসারের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। রান্নার পাত্র বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে তাই সচেতন হওয়া জরুরি।
