আজকাল ওয়েবডেস্ক: রেলের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার হল এক ব্যক্তি।

হাওড়া শালিমার জিআরপি বুধবার ডোমজুড় থানা এলাকার আঙ্কুরহাটির কাছ থেকে বিনোদ শাউ নামে ওই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে।

জিআরপি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১১ ডিসেম্বর শালিমার জিআরপিতে একটি লিখিত অভিযোগ জমা পড়ে। অভিযোগে দাবি করা হয়, সরকারি চাকরি বিশেষ করে রেলে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁদের কাছ থেকে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছে।

অভিযোগ পাওয়ার পরই তদন্তে নামেন হাওড়া শালিমার জিআরপির আধিকারিকরা। তদন্তের সূত্র ধরেই বুধবার অঙ্কুরহাটির কাছে অভিযুক্তকে আটক করে জিআরপি আধিকারিকরা।

হেফাজতে রেখে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তল্লাশি চালিয়ে তাঁর কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে সূত্র মারফত।

পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, ওই দুটি মোবাইলে ভিন্ন ভিন্ন পরিচয়ে নেওয়া সিম কার্ড ব্যবহার করা হচ্ছিল, যেখানে বাবার নামসহ একাধিক তথ্য জাল করা হয়েছে।

পাশাপাশি অভিযুক্তের কাছ থেকে রাজ্য সরকার ও ‘গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া’-র নামাঙ্কিত দুটি সরকারি স্ট্যাম্প, বেশ কিছু নথিপত্রও উদ্ধার হয়েছে।

এই ঘটনায় বিনোদ শাউকে বৃহস্পতিবার শালিমার জিআরপির তরফে হাওড়া জেলা আদালতে পেশ করা হয়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি বিনোদ শাউ পেশায় একজন ব্যবসায়ী এবং রেলের স্ক্র্যাপ কেনাবেচার কাজের সঙ্গে যুক্ত।

অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি নিজেকে রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচয় দিতেন এবং সেই পরিচয় দেখিয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন।

অভিযোগ, মুর্শিদাবাদ জেলার তিনজন ব্যক্তির কাছ থেকে তিনি ১০ লক্ষ টাকা করে মোট ৩০ লক্ষ টাকা নেন বলে অভিযোগ।

কিন্তু দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও চাকরির কোনও ব্যবস্থা না হওয়ায় প্রতারিত ব্যক্তিরা বুঝতে পারেন যে তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা হয়েছে।

এরপরই তাঁরা শালিমার জিআরপির দ্বারস্থ হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। বর্তমানে পুরো চক্রের সঙ্গে আর কেউ জড়িত রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে শালিমার জিআরপি।