দুয়ারে বড়দিন, ডিসেম্বর মাসের অর্ধেক পার, তবুও হাড়কাঁপানো কনকনে শীতের দেখা মিলল না বাংলায়। আবহাওয়ার এই খামখেয়ালি আচরণে হতাশ শীতপ্রেমীরা। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাসে আরও হতাশা বাড়িয়েছে। বড়দিনের আগে জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়ার সম্ভাবনা কার্যত নেই বলেই জানানো হয়েছে। তবে বড়দিন পেরোলেই কী কনকনে শীতে কাঁপবে বাংলা? এই নিয়েই নানা জল্পনা।
2
5
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম ভারতের উপর সক্রিয় রয়েছে একাধিক পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। জম্মু-কাশ্মীর সংলগ্ন এলাকা এবং উত্তর-পশ্চিম ভারতের পার্বত্য অঞ্চলে একই সঙ্গে ঘূর্ণাবর্ত ও পশ্চিমী ঝঞ্ঝার উপস্থিতি রয়েছে। এই একের পর এক ঝঞ্ঝার প্রভাবেই দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে এখনও পর্যন্ত জাঁকিয়ে শীত নামছে না। আবহাওয়া দপ্তরের মতে, আপাতত হঠাৎ করে পারদ পতন কিংবা কনকনে ঠান্ডা পড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।
3
5
তবে হাড়কাঁপানো ঠান্ডা না পড়লেও শীতের আমেজ থাকবে ভরপুর। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, কলকাতায় আগামী কয়েক দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ থেকে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যেই ঘোরাফেরা করবে। দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলিতেও তাপমাত্রা মোটামুটি একই রকম থাকবে। রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে রাতের তাপমাত্রা নামতে পারে ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি।
4
5
তুলনামূলক ভাবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে শীতের দাপট বেশি থাকলেও আগামী দু'এক দিনের মধ্যে তাপমাত্রায় বড়সড় পতনের সম্ভাবনা নেই। দার্জিলিং ও কালিম্পং বাদে আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহার জেলাগুলিতে আগামী কয়েক দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকতে পারে।
5
5
বড়দিনের পর কনকনে শীত? এই মুহূর্তে বড়দিনের পরেও কনকনে শীত পড়বে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত কোনও পূর্বাভাস দিতে পারেনি আবহাওয়া দপ্তর। ফলে চলতি ডিসেম্বর মাসে ঠান্ডায় জবুথবু পরিস্থিতির স্বাদ মিলবে কি না, তা এখনও অনিশ্চিত। তবে রাজ্যজুড়ে শীতের মেজাজ মোটের উপর বজায় থাকবে বলেই জানানো হয়েছে।