আজকাল ওয়েবডেস্ক: অফিস, পরিবার, বাজার ঘাট- নিত্যদিনের হাজারো কাজ করতে করতে পুরুষরা অনেক সময় নিজেদের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে ভুলে যান। এমন অনেক দৈহিক সংকেত উপেক্ষা করেন যেগুলি কোনও না কোনও শারীরিক সমস্যার লক্ষণ। তাই শেষ পর্যন্ত যখন রোগ ধরা পড়ে তখন অনেক দেরি হয়ে যায় চিকিৎসা হয়ে ওঠে মুশকিল। আবার কেউ কেউ এতই শৃঙ্খলা হীন জীবন কাটান যে তারও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে শরীরে। গভীর রাত পর্যন্ত পার্টি করা, তেল মশলাযুক্ত খাবার বেশি খাওয়া, প্রচুর পরিমাণ কফি, ঠিকমতো শরীর চর্চা না করা কিংবা মদ্যপান ও ধূমপানের মত অভ্যাস - সব মিলিয়ে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে পুরুষদের শরীরের উপর।
আরও পড়ুন: পাড়ার বৌদিদের অন্তর্বাস চুরি একের পর এক! চোরকে সামনে পেয়ে এ কী করলেন মহিলারা?
এখানে স্বাস্থ্যের কথা বলতে কিন্তু কেবলমাত্র কিডনি কিংবা মস্তিষ্কের কথা বলা হচ্ছে না। নিয়মানুবর্তিতার অভাব কাজের চাপ, মানসিক টানাপোড়েন প্রভৃতি বিষয়ের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে যৌনস্বাস্থ্যের উপরেও। গবেষণায় দেখা গিয়েছে গত 40 বছরে পুরুষদের শুক্রানুর সংখ্যা কমেছে প্রায় ৫০ শতাংশ। অধিকাংশ চিকিৎসকে এর জন্য দায়ী করছেন দৈনন্দিন জীবনযাত্রা এবং খাদ্যাভ্যাসকে। আমেরিকার সোসাইটি ফর রিপ্রোডাক্টিভ মেডিসিন-এর গবেষণা বলছে খারাপ শুক্রাণু কেবলমাত্র সন্তান ধারণের ক্ষমতাকেই প্রভাবিত করে না। দুর্বল শুক্রাণু হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, বিপাক ক্রিয়ার সমস্যা এবং হৃদযন্ত্রের সমস্যার মতো নানান ধরনের শারীরিক সমস্যাকে চিহ্নিত করতে পারে। কিন্তু কিভাবে বুঝবেন যে আপনার শুক্রাণুতে সমস্যা রয়েছে? 
সন্তানধারণের সমস্যা
যদি কোনও দম্পতি এক বছরের অধিক সময় ধরে চেষ্টা করেও মা-বাবা না হতে পারেন, তবে শুক্রানুর সমস্যা তার অন্যতম প্রধান কারণ হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা রিপোর্ট অনুযায়ী কুড়ি থেকে ত্রিশ শতাংশ বন্ধ্যত্বের ঘটনা ঘটে পুরুষদের অক্ষমতার কারণে। কাজেই সন্তানধারণের অক্ষমতা দুর্বল শুক্রানুর লক্ষণ হতে পারে।
অণ্ডকোষে ব্যথা 
অণ্ডকোষে ব্যথা হওয়া বা ফুলে যাওয়া বিভিন্ন ধরনের রোগের সংকেত। প্রস্তাটাইটিস, এপিডিডাইমিটিস, অর্কাইটিসের মতো বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে অণ্ডকোষে। এই রোগগুলির প্রভাবে বীর্যে শুক্রাণুর পরিমাণ কমে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: পাড়ার বৌদিদের অন্তর্বাস চুরি একের পর এক! চোরকে সামনে পেয়ে এ কী করলেন মহিলারা?
স্বল্প পরিমাণ বীর্য
যদি বীর্যপাতের সময় অতি সামান্য বীর্য নির্গত হয়, কিংবা চেষ্টা করেও বীর্য নির্গত না হয় তবে শুক্রনালিতে সমস্যা থাকতে পারে। কখনও কখনও আবার বীর্য বাইরে না পড়ে অণ্ডকোষের ভিতরের দিকেই চলে যায়। একে রেট্রোগ্রেড ইজাকুলেশন বলে। এই সমস্যাতেও পুরুষদের বন্ধ্যাত্ব দেখা দিতে পারে।
বীর্যের রঙ বদল
বীর্যের রং বদলে যাওয়া কিংবা বীর্য থেকে বাজে দুর্গন্ধ নির্গত হওয়া মোটেই ভাল লক্ষণ নয়। পুরুষদের যৌনাঙ্গে সংক্রমণের কারণে এমন ঘটনা ঘটতে পারে।
হরমোনের সমস্যা
কখনও কখনও টেস্টোস্টেরন হরমোনের পরিমাণ কমে গেলে যৌনস্বাস্থ্যতে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। চুল পাতলা হয়ে যায়, গলার স্বর বদলে যায়, পুরুষদের স্তনের আকার বেড়ে যায়, যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে যায় এমনকী লিঙ্গ শিথিলতা দেখা দেয়। আমেরিকার এন্ডোক্রাইন সোসাইটির গবেষণা অনুযায়ী এর ফলে শুক্রানুর পরিমাণ কমে যেতে পারে।
আঘাত
অনেক সময় অণ্ডকোষে আঘাত লেগে থাকলে ট্রমা তৈরি হয়। বিশেষ করে শৈশবে আঘাত পেলে বা অণ্ডকোষে অস্ত্রোপচার হয়ে থাকলে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। এই ক্ষেত্রেও শুক্রাণু উৎপাদনে সমস্যা হতে পারে।