আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হৃদরোগ। অথচ এর প্রাথমিক লক্ষণগুলি এতটাই সাধারণ যে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা আমাদের নজর এড়িয়ে যায়। বুকে ব্যথা বা শ্বাসকষ্টকেই হৃদরোগের মূল উপসর্গ বলে ধরে নেওয়া হলেও, শরীর তার অনেক আগে থেকেই ছোট ছোট সঙ্কেত পাঠাতে শুরু করে।
সম্প্রতি টিকটকের মতো সমাজমাধ্যমে মেডিসিনের চিকিৎসক সারমেদ মেজের এই বিষয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই সেটি ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সেখানে তিনি মাত্র পাঁচ সেকেন্ডের একটি সহজ পরীক্ষার কথা বলেছেন, যা হার্ট ফেলিওরের মতো গুরুতর সমস্যার আগাম ইঙ্গিত দিতে পারে এবং কখন চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত, সে বিষয়ে সচেতন করতে পারে।
চিকিৎসক মেজের তাঁর অনুগামীদের ‘পিটিং ইডিমা’ নামক একটি উপসর্গের দিকে নজর রাখতে বলেছেন। যখন পায়ের ফোলা অংশে আঙুল দিয়ে খানিকক্ষণ চাপ দিলে ত্বকের উপর একটি গর্ত বা টোল তৈরি হয় এবং চট করে তা আগের অবস্থায় ফিরে আসে না, তাকেই পিটিং ইডিমা বলে। তবে তিনি জানিয়েছেন, এই লক্ষণ দেখা দেওয়া মানেই যে বড় কোনও বিপদ ঘটেছে, তা নয়। তাঁর কথায়, “যদিও এটি স্বাভাবিক নয় এবং গুরুতর রোগের সঙ্গে এর যোগসূত্র থাকতে পারে, তবে এর পিছনে অনেক তুচ্ছ কারণও থাকে।”
আরও পড়ুন: স্ত্রীর পিঠ জিভ দিয়ে চেটে দেয় পুরুষ, স্ত্রী যদি পাল্টা লেহন করে, তবেই হয় মিলন! পৃথিবীর একমাত্র জীবিত ড্রাগন এরাই
তাঁর মতে, দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা, অতিরিক্ত গরম, গর্ভাবস্থা বা অতিরিক্ত ওজনের মতো সাধারণ কারণেও পায়ে জল জমে তা ফুলতে পারে। কিন্তু যদি এই ফোলা ভাব দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে তা শিরা বা ধমনীর দুর্বলতা অথবা আরও গুরুতর শারীরিক সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে। যেমন- হার্ট ফেলিওর, কিডনি বা লিভারের রোগ। যদি একটি মাত্র পায়ে ফোলা ভাব দেখা দেয়, তবে তা রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ারও লক্ষণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: স্ত্রীর পিঠ জিভ দিয়ে চেটে দেয় পুরুষ, স্ত্রী যদি পাল্টা লেহন করে, তবেই হয় মিলন! পৃথিবীর একমাত্র জীবিত ড্রাগন এরাই
ডাঃ মেজের আরও জানান যে, এই উপসর্গের আসল কারণ নির্ণয়ের জন্য সঠিক ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রয়োজন। তিনি বলেন, “আমার ক্লিনিকে যখন কোনও রোগী এই সমস্যা নিয়ে আসেন, আমি সঙ্গে সঙ্গে এর কারণ নিশ্চিত করতে পারি না। রক্ত পরীক্ষা, ইকোকার্ডিয়োগ্রাম বা পায়ের আলট্রাসাউন্ডের মতো পরীক্ষার পরেই আসল চিত্রটা স্পষ্ট হয়। সেই কারণেই বাড়িতে বসে নিজে থেকে এই সমস্যার কারণ খোঁজা একেবারেই উচিত নয়। যদি পায়ে এই ধরনের ফোলা ভাব বা গর্ত হওয়ার মতো লক্ষণ দেখেন, তবে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।”
