সহজে লোনের ফাঁদে পা দেবেন না, মেনে চলুন এই নিয়মগুলি
Sumit Charkaborty
রবিবার, 14 সেপ্টেম্বর 2025
1
8
যদি আপনি হঠাৎ অর্থের প্রয়োজন অনুভব করেন এবং হাতে সময় না থাকে একগাদা কাগজপত্র জোগাড় করার, তাহলে দ্রুত ঋণ পাওয়ার জন্য এখন অনেক বিকল্প রয়েছে। ব্যাংক, নন-ব্যাংকিং ফাইন্যান্স কোম্পানি থেকে শুরু করে ফিনটেক অ্যাপ।
2
8
বিভিন্ন শ্রেণির ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা খুব অল্প সময়ে তুলনামূলক সহজ প্রক্রিয়ায় ব্যক্তিগত ঋণ প্রদান করে থাকে। তবে ঋণ নেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নজর দেওয়া একান্ত প্রয়োজন।
3
8
ঋণ নেওয়ার আগে সবচেয়ে আগে খেয়াল রাখতে হবে ঋণদাতার বিশ্বাসযোগ্যতা কতটা। আজকাল অনলাইনে গ্রাহকদের রিভিউ সহজেই পাওয়া যায়। পূর্ববর্তী গ্রাহকের অভিজ্ঞতা পড়ে আপনি জানতে পারবেন প্রতিষ্ঠানটি কতটা নির্ভরযোগ্য এবং তাদের সেবার মান কেমন। অচেনা বা যাচাইবাছাইহীন কোনও সংস্থার কাছে আর্থিক লেনদেন করা কখনই নিরাপদ নয়।
4
8
আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী ঋণদাতা নির্বাচন করা জরুরি। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার বড় অঙ্কের ঋণের প্রয়োজন হয় অথচ কোনও নির্দিষ্ট ঋণদাতা কেবল ছোট অঙ্কের ঋণ দিয়ে থাকে, তবে সেই অফার আপনার জন্য উপযুক্ত নয়। আবার, যেসব ঋণদাতা মূলত ব্যবসায়িক ঋণ দেয়, তারা ব্যক্তিগত ঋণের ক্ষেত্রে ততটা কার্যকর নাও হতে পারে। তাই আগে থেকে খোঁজ নিয়ে নিজের প্রয়োজনের সঙ্গে মিলিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
5
8
ঋণ নেওয়ার সময় সুদের হার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাজারে বিভিন্ন ঋণদাতা বিভিন্ন হারে ঋণ প্রদান করে থাকে। সুদের হার অত্যধিক বেশি হলে ভবিষ্যতে কিস্তি পরিশোধে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই বাজার যাচাই করে তুলনামূলকভাবে কম সুদের হার ও স্বচ্ছ শর্তে ঋণ দেওয়া প্রতিষ্ঠান বেছে নেওয়াই উত্তম।
6
8
সাধারণত একটি ব্যক্তিগত ঋণ পেতে যে নথিগুলো প্রয়োজন হয় তা হল, গত তিন মাসের বেতনের স্লিপ, চাকরির অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার বা আইডি কার্ড, গত তিন মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট, গত দুই থেকে তিন বছরের আয়কর রিটার্ন।
7
8
আজকাল অনেক ক্ষেত্রেই দীর্ঘ কাগজপত্রের প্রয়োজনীয়তা কমে এসেছে। এর জন্য মূল ভূমিকা রাখছে eKYC বা ইলেকট্রনিক নো-ইয়োর-কাস্টমার প্রক্রিয়া। এটি একটি ডিজিটাল পদ্ধতি, যেখানে ঋণদাতা আপনার পরিচয় ও ঠিকানা যাচাই করে নেয় বায়োমেট্রিক অথেনটিকেশনের মাধ্যমে। আধার-ভিত্তিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে রিয়েল-টাইমে আপনার তথ্য যাচাই করা সম্ভব হয়। প্রক্রিয়াটি শুরু করতে হলে আপনার আধার-সংযুক্ত মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে হবে।
8
8
অর্থনৈতিক প্রয়োজনে দ্রুত ঋণ নেওয়া এখন আর জটিল প্রক্রিয়া নয়। তবে এর আগে ঋণদাতার বিশ্বাসযোগ্যতা, অফারের প্রয়োজনীয়তা ও সুদের হার ভালোভাবে খতিয়ে দেখা উচিত। আর eKYC-এর মতো আধুনিক প্রযুক্তি ঋণ গ্রহণের প্রক্রিয়াকে অনেক সহজ করে তুলছে, যাতে গ্রাহকরা সময় বাঁচিয়ে দ্রুত অর্থ সংগ্রহ করতে পারেন। তবে সতর্ক থাকা জরুরি—অতিরিক্ত সুদের ফাঁদে পড়া বা ভুয়া ঋণদাতার কাছে যাওয়া ভবিষ্যতে বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে।