বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া ভাটকে ঘিরে ফের শুরু হল গরমাগরম বিতর্ক। সম্প্রতি নায়িকার ২৫০ কোটির পালি হিলের ছ’তলা বাড়ির একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়তেই আলিয়া প্রকাশ্যে আনেন এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতি। মুম্বইয়ের ব্যস্ত শহরে যেখানে জায়গা কম, সেখানেই আরও একবার গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগ তুললেন আলিয়া ভাট। সম্প্রতি তাঁর বান্দ্রার বিলাসবহুল নতুন বাড়ি—যেটি এখনও নির্মীয়মাণ—সেই বাড়ির ভেতরের ভিডিও প্রকাশ্যে এনে দিল একাধিক প্রকাশনা ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট। আর তাতেই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী।

আলিয়া বললেন-“আমি বুঝি মুম্বই শহরে জায়গা কম, অনেক সময়েই এক বাড়ির জানলা থেকে আরেকজনের বাড়ি দেখা যায়। কিন্তু তাই বলে কারও ব্যক্তিগত জায়গার ভিডিও তুলে সেটিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো—এর কোনও অধিকার কারও নেই। আমাদের নতুন বাড়ির ভিডিও—যেটি এখনও তৈরি হচ্ছে—গোপনে তুলে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এটি শুধুই গোপনীয়তা ভঙ্গ নয়, বরং নিরাপত্তার বড়সড় হুমকিও।”তিনি আরও বলেন, “কারও ব্যক্তিগত জায়গার ছবি বা ভিডিও অনুমতি ছাড়া তোলা কখনও কনটেন্ট হতে পারে না। এটা স্পষ্টতই বেআইনি কাজ। ভাবুন তো, যদি আপনাদের বাড়ির ভেতরের ভিডিও কারও অজান্তে অনলাইনে ঘুরে বেড়াত, কেমন লাগত?”

আলিয়া স্পষ্ট জানান, তাঁর বা তাঁর পরিবারের সম্মতি ছাড়া এই ভিডিও ও ছবি ছড়ানো হয়েছে—যা শুধুই ব্যক্তিগত গোপনীয়তার লঙ্ঘন নয়, বরং গুরুতর নিরাপত্তা সমস্যা। তিনি অনুরোধ জানান, এই কনটেন্ট যেন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে ফেলা হয় এবং ভক্তদের বলেন, “দয়া করে এগুলো শেয়ার বা ফরোয়ার্ড করবেন না।”

কিন্তু এরপরেই শুরু হয়েছে নাটক। অভিনেত্রী তথা ‘বিগ বস ‘২ প্রতিযোগী পায়েল রোহতগী আলিয়ার এই নোট রিশেয়ার করে চমকে দেওয়া মন্তব্য করেন। তাঁর কথায়— “এটা প্রাইভেসি ভায়োলেশন নয়। এটা গোপনীয়তার লঙ্ঘনের আওতায় আসে না। আপনার স্বামী বা অন্য কোনও পুরুষের সাথে আপনার যৌন সম্পর্ক গোপনীয়তার লঙ্ঘনের আওতায় আসে।”

এতেই থামেননি পায়েল। আরও লেখেন— “আলিয়া ভাট, তোমার বাড়ির লোকেশন শেয়ার করা প্রাইভেসি ভায়োলেশন নয়। ইনফ্লুয়েন্সাররা তো রাস্তায় ভিডিও বানায়, পেছনে তো ঘরবাড়ি থাকে। তোমার তো যথেষ্ট টাকা আছে, সিকিউরিটি আর ক্যামেরা বসাও। কিন্তু একটু সাধারণ বোধ ব্যবহার কর।”

 

পায়েলের এই মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন নেটিজেনরা। এক নেটিজেন  লিখেছেন— “আলিয়ার যৌন জীবন নিয়ে এমন নেশা মারাত্মক বিকৃতি। এটা সরাসরি সোশ্যাল মিডিয়া হ্যারাসমেন্ট। ওর বিরুদ্ধে মামলা হওয়া উচিত।”

অন্য এক মন্তব্যকারীর দাবি—
“মানুষ আজকাল শুধু আলোচনায় থাকতে যেকোনও কিছু বলে। পায়েল নিছকই এক হেটার। ফালতু!”

আরও এক নেটিজেন লিখেছেন, “ও শুধু লোকের নজরে আসতে চায়। কেউ ওকে মনে রাখে না।” আবার আরেকজনের কটাক্ষ, “লকডাউনে করিনা আর ওর ছেলেকে নিয়েও ভিডিও বানাতো পায়েল। তখনও কেউ পাত্তা দেয়নি। এখনও দেওয়া উচিত নয়।”

আলিয়া-রণবীরের বিলাসবহুল বাসভবন সবসময়েই আলোচনায় থাকে। কিন্তু এবার বিষয়টা শুধুই প্রাইভেসি নয়, বরং সেলিব্রিটি সেফটি ও মিডিয়ার দায়িত্বশীলতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে। আলিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছেন বহু অনুরাগী ও সহকর্মী, তবে পায়েলের মন্তব্য এই বিতর্ককে আরও উসকে দিল বলেই মত নেটিজেনদের।