নুরউদ্দিন: পড়াশোনার সঙ্গে তালের আঁটিও কুড়িয়ে রাখে কাকদ্বীপের প্রাইমারি ও হাইস্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা। সকালবেলায় সেই আঁটি নিয়ে তারা যাচ্ছে নদীর পাড়ে‌। রোপণ করছে সেই বীজ। উদ্দেশ্য, নদীর ভাঙন আটকানো। গত দু'বছর ধরে বোদাখালি গ্রামে এভাবেই বাঁধ রক্ষায় এগিয়ে এসেছে শিক্ষকের নেতৃত্বে পড়ুয়ারা। 

 

আয়লা থেকে ইয়াস। একের পর একে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত সুন্দরবনের নদীবাঁধ। একের পর বাঁধে ভাঙন ধরে। কেন এই ভাঙন? কারণ খুঁজতে গিয়ে কাকদ্বীপের শিক্ষক রামপদ মণ্ডল দেখতে পান নদীর বাঁধে পর্যাপ্ত গাছের অভাব রয়েছে। বা যেসমস্ত গাছ রয়েছে তার শিকড় মাটির বেশি গভীরে যায় না। 

 

সমস্যা সমাধানে তিনি নদীর তীরে তাল ও খেঁজুর জাতীয় গাছ বসানোর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। এই কাজে তিনি সঙ্গে নেন এলাকার স্কুল পড়ুয়াদের। সেইমতো পাকা তাল সংগ্রহ করে সেই তালের বীজ বা আঁটি সংগ্রহ করে রাখেন এবং সেই আঁটি সকালে উঠে নদীর তীরে রোপণ করেন‌‌। 

 

এবিষয়ে বলতে গিয়ে শিক্ষক রামপদ মণ্ডল বলেন, 'বাঁধ রক্ষার জন্য সাধারণ গাছ লাগিয়ে লাভ হবে না। তাল বা খেঁজুর জাতীয় গাছ লাগাতে হবে। কারণ এর শিকড় মাটির অনেক নিচ পর্যন্ত গিয়ে মাটিকে ধরে রাখে। সেজন্যই আমরা তাল গাছ রোপণ করি।' 

 

পড়ুয়া মিঠুন রায়ের কথায়, 'তালের শিকড় বহুদূর পর্যন্ত যায়। সেজন্যই শিক্ষকদের নিয়ে আমরা নদীর পাড়ে তালের আঁটি নিয়মিত রোপণ করা হচ্ছে।'