মানবদেহে লিভার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটি শুধু শরীরকে বিষমুক্ত রাখে না হজম, শক্তি সঞ্চয় ও রক্ত বিশুদ্ধ করার ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা রাখে। আধুনিক জীবনযাত্রা, অস্বাস্থ্যকর খাবার ও কম শারীরিক পরিশ্রমের কারণে এখন কমবয়সিরাও 'ফ্যাটি লিভার'-এর সমস্যায় ভোগেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, সময়মতো এই রোগ ধরা না পড়লে তা মারাত্মক আকার নিতে পারে। তাই ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ শনাক্ত করা জরুরি। বিশেষ করে রাতে কিছু উপসর্গ দেখা দিলে তা লিভারে ফ্যাট জমার সংকেত হতে পারে। 

কোন কোন লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন

* ডান দিকের উপরের অংশে ব্যথা বা চাপ অনুভবঃ রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সময় যদি পেটের ডান দিকের উপরের অংশে হালকা ব্যথা, টান বা অস্বস্তি হয়, তবে এটি ফ্যাটি লিভারের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। অনেক সময় এই ব্যথা পেট ভর্তি লাগা বা অস্বাভাবিক চাপের মতো অনুভূত হয়।

আরও পড়ুনঃ ডায়াবেটিসে চিনি ছেড়ে ব্রাউন সুগার খাচ্ছেন? আদৌ এটি স্বাস্থ্যের জন্য ভাল তো! নাকি উল্টে বারোটা বাজচ্ছে শরীরের?

* রাতে খিদে না লাগা বা খাবারে অনীহাঃ ডায়াবেটিস বা হজমের গোলযোগ ছাড়াও যদি কয়েকদিন ধরে ডিনারের সময় খেতে ইচ্ছা না হয় বা খিদে অনুভূত হয়, তবে সেটি ফ্যাটি লিভারের সতর্কবার্তা হতে পারে। দীর্ঘদিন এমন চলতে থাকলে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি ও ওজন দ্রুত কমে যেতে পারে।

* ঘুমের ব্যাঘাতঃ ফ্যাটি লিভারের আরেকটি বড় লক্ষণ হল রাতে ঘুম ঠিকভাবে না হওয়া। হালকা ঘুম, বারবার ঘুম ভাঙা বা একেবারেই ঘুম না হওয়া-এসব উপসর্গ লিভারের সমস্যার সঙ্গে যুক্ত হতে পারে।

কেন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

বিশেষজ্ঞদের মতে, ফ্যাটি লিভারকে অবহেলা করলে তা সিরোসিস বা লিভার ফেলিওরের মতো গুরুতর রোগের আকার নিতে পারে। তাই উপরের উপসর্গগুলো বারবার দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি জীবনধারায় পরিবর্তন আনা জরুরি-

* তৈলাক্ত ও ভাজাপোড়া খাবার কমানো
* অ্যালকোহল এড়িয়ে চলা
* নিয়মিত ব্যায়াম করা
* ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা
* শর্করা ও প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খাওয়া