আজকাল ওয়েবডেস্ক: বহু আলোচিত ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের পর আদৌ কি স্বস্তি ফিরল ভারতের? আলাস্কার আলোচনা শেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন যে, তিনি রাশিয়া এবং তার বাণিজ্য অংশীদারদের উপর দ্বিতীয় নিষেধাজ্ঞার কথা এখনই বিবেচনা করছেন না। তবে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জোর দিয়ে বলেছেন যে, "দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে" তাঁকে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে হতে পারে।
ট্রাম্প, ইউক্রেনের উপর রুশ আগ্রাসন নিয়ে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে আলোচনা সেরেছেন। তার পর রাশিয়ার প্রতি তাঁর অবস্থান বেশ কিছুটা নরম। মার্কিন প্রেসিডেন্ট সাফ জানিয়েছেন যে, আলাস্কা বৈঠক "ভাল হয়েছে"। এমনকি এই বৈঠককে তিনি "১০/১০" নম্বর দিয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মাত্র কয়েকদিন আগেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ছিলেন। মস্কোর সঙ্গে তেল বাণিজ্যে যুক্ত দেশগুলির উপর বাড়তি শুল্ক আরোপের ঘোষণা করেছিলেন। সেই প্রেসিডেন্টই এ দিন বলেছেন, "আমাকে দুই বা তিন সপ্তাহ বা তার কিছু বেশি সময়ের মধ্যে নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে ভাবতে হতে পারে, তবে আমাদের তাৎক্ষণিকভাবে এসব নিয়ে ভাবছি না।"
No tariffs on Russian partners for now, Tariffs on Russian oil buyers not needed for now, says the US President Trump after meet with Putin.
— Himanshu Yadav Bjp (@bjphimanshuyadv)
I don’t have to think about that right now. I may have to think about it in 2-3 weeks.#TrumpPutinSummit #Trump#MumbaiRains #Putin pic.twitter.com/9GDQ3ywgmXTweet by @bjphimanshuyadv
ভবিষ্যত পদক্ষেপ সম্পর্কে বিস্তারিত না জানিয়ে ট্রাম্প আরও বলেন যে, "আমি যদি এখনই দ্বিতীয় নিষেধাজ্ঞাগুলি চাপাই, তবে তা অনেক দেশের জন্যই ধ্বংসাত্মক হবে।"
ভারতীয় পণ্য আমদানির উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর, ট্রাম্প রাশিয়ার তেল ক্রয় অব্যাহত রাখার জন্য ভারতীয় পণ্যের উপর অতিরিক্ত আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল। ফলে ভারতীয় আমদানির উপর সামগ্রিক শুল্ক দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়ায় ৫০ শতাংশ। 'বন্ধু' রাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপে অস্বস্তি বাড়ে নয়াদিল্লি।
ট্রাম্প এর আগে রাশিয়ার তেল ক্রয়কারী দেশগুলিকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে, দ্বিতীয় পর্যায়ের নিষেধাজ্ঞাও আসতে চলেছে। উল্লেখ্য, রাশিয়ার তেলে কেনায় শীর্ষে রয়েছে চীন ও ভারত।
আলাস্কা শীর্ষ সম্মেলনের মাত্র কয়েকদিন আগে, ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেছিলেন যে- ভারতের উপর আরোপিত শাস্তিমূলক শুল্ক পুতিনের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করেছে। কারণ মস্কো তার "দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রাহক" হারাচ্ছে।
তবে, ভারত স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে- ট্রাম্পের হুমকির পরেও রাশিয়ার তেল আমদানিতে কোনও ছেদ পড়েনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট রাশিয়াকেও সতর্ক করেছিলেন। হুঁশিয়ারির সুরে জানিয়েছিলেন যে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের চার বছর হয়ে গেল। এখনও তা থামার কোনও ইঙ্গিত নেই। মস্কো আগ্রাসন বন্ধে রাজি না হলে রাশিয়ার পরিণতি হবে ভয়ঙ্কর। বলেছিলেন, "রাশিয়াকে খুব গুরুতর পরিণ ভোগ করতে হবে।"
জেলেনস্কির প্রতি ট্রাম্পের আহ্বান
বাকবিতণ্ডা সত্ত্বেও, ট্রাম্প এবং পুতিন প্রায় তিন ঘন্টার বৈঠকের পর ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির জন্য কোনও চুক্তিতে পৌঁছাননি।
ফক্স নিউজের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে, ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেছিলেন যে- ইউরোপীয় গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে চুক্তিটি সম্পন্ন করার দায়িত্ব এখন ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভ্লোদিমির জেলেনস্কির উপর। জেলেনস্কির প্রতি ট্রাম্পের আহ্বান ছিল,"একটি চুক্তি করুন।" তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট পরামর্শ দেন যে সম্ভাব্য যুদ্ধবন্দি স্থানান্তর হতে পারে। বলেছিলেন, "আমার কাছে হাজার হাজার মানুষের একটি বই আছে যা তাঁরা আজ আমাকে উপহার দিয়েছে, হাজার হাজার বন্দি, যারা মুক্তি পাবে।"
আরও পড়ুন- ঐতিহ্যের মিশেলে সৌন্দর্য বাড়তে চলেছে দিল্লির, আসছে ছট্ ঘাট, রিভার ক্রুজ ও হেরিটেজ সার্কিট
