ভারতের মাল্টি-কমোডিটি এক্সচেঞ্জে (MCX) সোনার দামে গত এক মাসে বড়সড় পতন দেখা গেছে। রেকর্ড উচ্চতা থেকে ১০ গ্রামে ৮,০০০ টাকারও বেশি কমেছে দাম। বিশ্ব বাজারের মিশ্র ইঙ্গিত, ভারত–মার্কিন বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা এবং আগামী ডিসেম্বরে মার্কিন ফেডের সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা হ্রাস—এই সব কারণেই সোনার বাজারে এই অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
2
9
অক্টোবর ২০২৫-এ MCX–এ সোনার দাম প্রতি ১০ গ্রামে ১,৩২,২৯৪–এর রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছিল। তারপর থেকে ৮,০৯৯ কমে ২১ নভেম্বর ২০২৫-এ বাজার শেষ হয়েছে ১,২৪,১৯৫–এ। শুক্রবারের কমোডিটি বাজার শেষে সোনার দাম ছিল ১,২৪,১৯৫ যা আগের দিনের ১,২৪,১৯১ থেকে কার্যত স্থির অবস্থানে আছে বলে MCX–এর তথ্য জানাচ্ছে।
3
9
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সম্প্রতি ভারতীয় রুপির পতন সোনার দামে চাপ সৃষ্টি করেছে। শুক্রবার ডলার–রুপির বিনিময় হার নেমে যায় ৮৯.৪৩–এর নতুন রেকর্ড নিম্নস্তরে। রুপির দুর্বলতা আমদানিনির্ভর সোনার দামকেও প্রভাবিত করেছে। অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় থেকে সোনার দাম ১,১৮,০০০ থেকে ১,২৮,০০০–এর মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে।
4
9
নিউ ইয়র্ক ফেড প্রেসিডেন্ট জন উইলিয়ামসের সাম্প্রতিক মন্তব্যের পর সোনার দামে কিছুটা পুনরুদ্ধার দেখা গেছে। তাঁর ইঙ্গিত—ফেড শিগগিরই সুদের হার কমানোর দিকে যেতে পারে। আগামী ৯–১০ ডিসেম্বর ফেডের বৈঠকের দিকে এখন বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের নজর।
5
9
ডলার ইনডেক্স যদি গুরুত্বপূর্ণ রেজিস্ট্যান্স ভেঙে ওপরে না যেতে পারে, তবে সোনার প্রতি স্বল্পমেয়াদি সমর্থন তৈরি হবে। আগামী দিনে মার্কিন রিটেইল সেলস, PCE প্রাইস ইনডেক্স, ডলার ইনডেক্সের গতিপথ এবং টাকার অবস্থান সোনার দামে বড় প্রভাব ফেলবে।
6
9
সোনার দাম আরও বাড়তে পারে—তবে তা নিশ্চিত নয়। বিনিয়োগকারীদের পরামর্শ সোনাকে স্বল্পমেয়াদি লাভ বা হেজিংয়ের জন্য দেখা উচিত নয়। ৫–১০% বরাদ্দই যথেষ্ট; দাম কমলে ধীরে ধীরে বাড়ানো যেতে পারে।
7
9
সোনার ১,২১,৭০০–এ শক্তিশালী সাপোর্ট রয়েছে, আর ১,২৮,০০০ বড় রেজিস্ট্যান্স হিসেবে কাজ করবে। এই রেজিস্ট্যান্স ভেঙে গেলে সোনা নতুন রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছাতে পারে।
8
9
সোনার লক্ষ্যমূল্য ১,২৭,২০০ থেকে ১,২৮,৮০০+। নিকটবর্তী রেজিস্ট্যান্স ১,২৪,৫০০ থেকে ১,২৫,০০০। ১,২১,৮০০–এর নিচে গেলে স্বল্পমেয়াদে চাপ তৈরি হতে পারে, তবে বড় ট্রেন্ড এখনও ঊর্ধ্বমুখী।
9
9
সোনার মৌলিক ভিত্তি শক্তিশালী। RBI–র ক্রমাগত সোনা কেনা, বিশ্বের রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং নিরাপদ বিনিয়োগ প্রবণতা সোনার চাহিদাকে জোরদার করছে। প্রতিটি ট্রেন্ডলাইন ডিপই বিনিয়োগকারীদের জন্য উচ্চ আশার ‘বায়িং অপারচুনিটি’ তৈরি করছে।