আজকাল ওয়েবডেস্ক: সমুদ্রের কিছু উপাদান ক্যান্সারের চিকিৎসায় সাহায্য করতে পারে, যেমন কিছু সামুদ্রিক যৌগ ক্যান্সারের ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও, সমুদ্রের জল থেরাপির কিছু পদ্ধতিতেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
 
 এখানে কিছু বিষয় বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হল: 
 
 সমুদ্র থেকে প্রাপ্ত যৌগ: কিছু সামুদ্রিক জীব, যেমন কিছু শৈবাল এবং ব্যাকটেরিয়া, এমন যৌগ তৈরি করে যা ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি বন্ধ করতে বা তাদের মেরে ফেলতে সাহায্য করতে পারে। এই যৌগগুলি থেকে নতুন ক্যান্সার-বিরোধী ওষুধ তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। 
 
 থ্যালাসোথেরাপি: থ্যালাসোথেরাপি হল সমুদ্রের জল, কাদা এবং অন্যান্য সামুদ্রিক উপাদান ব্যবহার করে চিকিৎসা করা। এটি কিছু রোগের চিকিৎসায় সহায়ক হতে পারে, যেমন ফাইব্রোমায়ালজিয়া এবং পেশী সংক্রান্ত সমস্যা, তবে ক্যান্সারের চিকিৎসায় এর কার্যকারিতা এখনও ভালভাবে প্রমাণিত নয়। 
 
 ক্যান্সারের চিকিৎসায় জল: কিছু ক্ষেত্রে, ক্যান্সারের চিকিৎসায় জলের ব্যবহার করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, মূত্রাশয় ক্যান্সারের চিকিৎসায়, ইন্ট্রাভেসিকাল থেরাপিতে মূত্রাশয়ে সরাসরি ওষুধ প্রবেশ করানো হয়। এছাড়াও, কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে হাইপোটোনিক স্যালাইন দ্রবণ টিউমার কোষকে মেরে ফেলতে পারে। 
 
 ক্যান্সার প্রতিরোধে সমুদ্রের জল: কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে সমুদ্রের জলে সাঁতার কাটার ফলে কিছু রোগের ঝুঁকি বাড়ে, যেমন কান এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা। তাই, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সমুদ্রের জলে সাঁতার কাটার পরিবর্তে অন্যান্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত, যেমন স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ, নিয়মিত ব্যায়াম এবং ধূমপান পরিহার কর। 

 
 সুতরাং, ক্যান্সার নিরাময়ের জন্য সমুদ্রের জল একটি কার্যকর মাধ্যম নয়। তবে, ক্যান্সারের চিকিৎসায় এবং প্রতিরোধে সমুদ্রের কিছু উপাদান এবং থেরাপির পদ্ধতি সহায়ক হতে পারে.
 
 ক্যান্সার, বন্ধ্যাত্ব এবং হরমোনজনিত সমস্যার সঙ্গে যুক্ত ভয়ঙ্কর ‘চিরস্থায়ী রাসায়নিক’ অপসারণে এবার নতুন আশার আলো দেখালেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি Nature Microbiology-তে প্রকাশিত এক গবেষণায় জানা গেছে, মানবদেহের অন্ত্রে থাকা নির্দিষ্ট কিছু উপকারী ব্যাকটেরিয়া এই ক্ষতিকর রাসায়নিকগুলো শোষণ করে দেহ থেকে বের করে দিতে সক্ষম।
 
 PFAS নামের এই রাসায়নিকগুলো সাধারণত ননস্টিক কুকওয়্যার, ফাস্টফুডের মোড়ক, ওয়াটারপ্রুফ কাপড় ও অগ্নিনির্বাপক ফোমে ব্যবহৃত হয়। এরা সহজে পরিবেশ বা দেহে ভাঙে না এবং দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে জমা হয়ে থাকে। এর ফলে দেখা দিতে পারে লিভার ক্ষতি, জন্মগত ত্রুটি, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা ও ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগ।
আরও পড়ুন: বাড়ির কুকুর টিভি দেখতে পছন্দ করে, তাহলে ভুলেও এই কাজটি করবেন না, তাহলেই....
 
 ৭৪ শতাংশ পর্যন্ত PFAS কমাতে সক্ষম ব্যাকটেরিয়া: গবেষণায় বিজ্ঞানীরা অন্ত্রের ৩৮টি উপকারী ব্যাকটেরিয়া পরীক্ষার জন্য ল্যাবের ইঁদুরের শরীরে প্রবেশ করান। PFAS-এর সংস্পর্শে আনার পর দেখা যায়, এই ব্যাকটেরিয়াযুক্ত ইঁদুরদের মলে PFAS-এর মাত্রা ৭৪ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গেছে, অর্থাৎ দেহ থেকে তা বেরিয়ে গেছে।
 
 মানবদেহের নির্দিষ্ট কিছু অন্ত্রব্যাকটেরিয়া PFAS শোষণের অসাধারণ ক্ষমতা রাখে। এই রাসায়নিকগুলো ব্যাকটেরিয়ার কোষের ভেতরে জমা হয়, যার ফলে ব্যাকটেরিয়াগুলো নিজেরাও এর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পায়।
