শীতকাল আসা মানেই ত্বক রুক্ষ, শুষ্ক হয়ে যাওয়া। হালকা, জেল জাতীয় কোনও ক্রিম লাগালে উপকার পাওয়া যায় না বিশেষ। বিশেষ করে যাঁদের ড্রাই স্কিন তাঁদের কিছু সময় অন্তর অন্তর ক্রিম লাগাতে হয় রুক্ষ ভাব দূর করতে। কিন্তু জানেন কি ডার্মাটোলজিস্টদের মতে, ভারী ক্রিম বা একসঙ্গে একাধিক প্রোডাক্ট মিশিয়ে শীতকালে মাখা উচিত নয়। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। বরং ত্বককে উপোস রাখা উচিত এই সময়। ভাবছেন, মানুষ পুজো-আচ্চার জন্য উপোস করে, একরকম। অনেকে আবার স্বাস্থ্য সচেতন হওয়ার কারণে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংও করেছেন। কিন্তু এই স্কিন ফাস্টিং কী? ত্বককে কী করে উপোসী রাখবেন? কেনই বা রাখবেন?
শীতকালে ত্বক এমনই বেজায় চাপে থাকে। ঘরের তাপমাত্রা বাইরের তুলনায় বেশ বেশি থাকে। ঘর, বাহির করার কারণে ত্বকে চাপ পড়ে, তার মধ্যে আর্দ্রতা কম থাকায় সমস্যা আরও বাড়ে। এর মধ্যে যদি একাধিক ধরনের প্রোডাক্ট মাখেন, সেটা ঠিক হওয়ার বদলে বিগড়ে যেতে পারে। তাই শীতকালে একাধিক জিনিস মুখে না মেখে সাধারণ রুটিন ফলো করা উচিত যাতে ত্বক হাইড্রেটেড থাকে এবং পুষ্টিও পায়।
কিন্তু এই স্কিন ফাস্টিং কী? ত্বকে পর পর বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট লাগানো থেকে বিরত থাকা। বরং তার বদলে পুষ্টিকর পদ্ধতিতে কী করে ত্বককে ভাল রাখা যায় সেটার দিকে নজর দেওয়া। এটি হাল আমলের একটি জনপ্রিয় স্কিনকেয়ার রুটিন, যেখানে একাধিক প্রোডাক্ট লাগানো থেকে ত্বককে ব্রেক দেবেন।
শীতকালে একাধিক প্রোডাক্ট লাগালে মাইক্রোবায়োম ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এতে রুক্ষতা আরও বৃদ্ধি পাবে, বাড়বে সেনসিটিভিটি। সব মিলিয়ে ত্বক নির্জীব, নিষ্প্রাণ দেখাবে। তাহলে কি শীতকালে একেবারেই কিছু লাগাবেন না মুখে? না। বিষয়টা তেমন নয়। মুখ ধুয়ে হালকা ময়েশ্চরাইজার এবং সকালে সানস্ক্রিন লাগাবেন। অতিরিক্ত স্ক্রাব করা, ঘনঘন ক্রিম লাগানো বন্ধ করতে হবে। বন্ধ করতে হবে ত্বক একটু টান দিলেই, রুক্ষ লাগলে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট মিশিয়ে লাগানো। একই সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া প্রয়োজন। ভিতর থেকে আর্দ্র থাকা জরুরি। খাওয়া উচিত ভিটামিন সি জাতীয় রসাল ফল। এতে প্রাকৃতিক ভাবে ত্বকের উজ্জ্বলতার বাড়বে। একসঙ্গে অনেকটা ক্রিম লাগালে, বা লেয়ারে পর লেয়ার প্রোডাক্ট লাগালে ত্বক স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে পারে না। তাতেই সমস্যা হয়। ফলে আপনি তিথি, নক্ষত্র দেখে উপোস করলেও, শীতকালে মাঝে মধ্যে ত্বককে উপোসী রাখতেই পারেন। এতে উজ্জ্বলতা বাড়বে, ত্বক ভাল থাকবে।
