আজকাল ওয়েবডেস্ক: ধর্মঘটের পথে ওলা, উবের এবং ব়্যাপিডো চালকরা। ফলে বিরাট ভোগান্তিতে পড়তে পারেন নিত্যযাত্রীরা। ইতিমধ্যেই এদের সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তারা ধর্মঘটের পথে যাবেন। ফলে নিত্যযাত্রীদের দুর্ভোগ নিয়ে তারা চিন্তা করলেও নিজেদের অবস্থান থেকে সরছেন না।


চলতি মাসেই এই তিন পর্যায়ের চালকরা ধর্মঘটের পথে যাবেন। ফলে মুম্বইয়ে এর বিরাট প্রভাব পড়তে পারে। মুম্বইয়ে বিমানবন্দর এলাকা, বান্দ্রা-কুরলা কমপ্লেক্স, আন্ধেরি এবং দক্ষিণ মুম্বইতে এই ধর্মঘটের বিরাট প্রভাব পড়বে। যেভাবে জ্বালানির দাম বাড়ছে সেই তুলনায় প্রতি কিলোমিটার ৮ থেকে ১২ টাকাতে তারা চলতে পারছে না বলেই জানিয়ে দিয়েছে সংগঠন। 


মহারাষ্ট্রের গিগ ওয়ার্কারদের সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এই ধর্মঘট অনির্দিষ্টকালের জন্য চলতে পারে। যদি দ্রুত তাদের দাবি না মানা হয় তাহলে তারা এই ধর্মঘট চালিয়ে যাবেন। তারা জানিয়েছেন তাদেরকে অন্য পরিবহন সংস্থার সঙ্গে প্রতিদিন প্রতিযোগীতা করে থাকতে হয়। ফলে সেখান থেকে প্রতিদিন তাদের কাজের চাপ বাড়ছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে তাদেরকে আলোচনার টেবিলে বসার দাবি জানানো হয়েছে। তবে এতে কতটা চিড়ে ভিজবে সেটাই দেখার।


প্রসঙ্গত, এখন থেকে ব্যস্ত সময়ে প্রয়োজনে দ্বিগুণ ভাড়াও হাঁকতে পারবে অ্যাপ নির্ভর ক্যাব সংস্থাগুলি! এমনটাই বলছে সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের নতুন নির্দেশিকা।


এত দিন মূল ভাড়ার সর্বাধিক ১.৫ গুণ টাকা দাবি করা যেত। কিন্তু ১ জুলাই জারি করা ওই যানবাহন সংক্রান্ত নির্দেশিকা (এমভিএজি)-তে বলা হয়েছে, এখন থেকে ব্যস্ত সময়ে সংস্থাগুলি চাইলে মূল ভাড়ার সর্বাধিক দ্বিগুণ টাকা চাইতে পারবে। কিন্তু দিনের বাকি সময়ে মূল ভাড়ার সর্বনিম্ন ৫০ শতাংশ দাবি করা যাবে। কোনও নির্দিষ্ট রুটে মূল ভাড়া কত হবে, তা নির্ধারণ করবে রাজ্য সরকার। তবে সময়বিশেষে ভাড়া নির্ধারণের স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে অ্যাপ ক্যাব সংস্থাগুলিকেও।


প্রতিটি রাজ্যকে আগামী তিন মাসের মধ্যে সংশোধিত নির্দেশিকাগুলি বাস্তবায়ন করতে হবে। নতুন নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, রাজ্য সরকার মনে করলে বাইক ট্যাক্সি ব্যবহারের অনুমতি দিতে পারবে। এতে একদিকে যেমন সাশ্রয়ী মূল্যে সহজে যাতায়াত করতে পারবেন সাধারণ মানুষ, তেমনই যানজটও কমবে। কমবে দূষণও। বাড়তি সুবিধা পাবেন অ্যাপক্যাব চালকেরাও। 


নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, ভাড়ার অন্তত ৮০ শতাংশ চালকদের দিতে হবে সংস্থাগুলিকে। সংস্থার সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী চালককে দৈনিক, সাপ্তাহিক কিংবা পাক্ষিক ভাবে টাকা মিটিয়ে দিতে হবে। পারিশ্রমিক বকেয়া রাখা যাবে না। যদি গাড়িটি সংস্থার মালিকানাধীন হয়, সে ক্ষেত্রেও চালককে প্রযোজ্য ভাড়ার কমপক্ষে ৬০ শতাংশ দিতে হবে। এ ছাড়া, কোনও ব্যবহারকারী যদি বুকিংয়ের পর বৈধ কারণ ছাড়াই ‘রাইড’ বাতিল করেন, তা হলে তাঁকে সর্বাধিক ১০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হবে।

আরও পড়ুন: সাপের বিষে আর নেই ভয়, ঝড়ের গতিতে প্রতিশেধক তৈরি করল নতুন এই প্রযুক্তি


কেন্দ্রের এই নির্দেশিকায় খুশি র্যা পিডো এবং উবরের মতো সংস্থাগুলি। সরকারের এই পদক্ষেপকে তারা স্বাগত জানিয়েছে। র্যারপিডো জানিয়েছে, এই পদক্ষেপ ‘বিকশিত ভারতের দিকে যাত্রার একটি মাইলফলক’। এতে কম সুযোগসুবিধা সম্পন্ন এলাকায় সাশ্রয়ী মূল্যে পরিবহণ ব্যবস্থার সম্প্রসারণে সাহায্য হবে বলে মনে করছে তারা।