আজকাল ওয়েবডেস্ক: ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধআবহের রেশ কাটেনি এখনও। ট্রাম্প দাবি করছেন, তাঁর মধ্যস্থতাতেই কোনওরকমে আরও বড় বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ থামিয়েছে ইরান এবং ইজরায়েল। এদিকে নেতানিয়াহু আবেদন জানিয়েছেন শান্তিতে ট্রাম্পকে নোবেল দেওয়ার জন্য। কিন্তু ইজরায়েল কি শান্তি চাইছে? এই প্রশ্ন ফের ঘুরছে তাদের সাম্প্রতিকতম কাজকর্মের কারণে।
ইজরায়েল ফের হামলা চালিয়েছে সিরিয়ার উপর। দ ক্ষিণ সিরিয়ায় সুন্নি ইসলামপন্থী বেদুইন সশস্ত্র বাহিনী এবং দ্রুজ সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর জনবসতিতে রবিবার রাত থেকেই সংঘর্ষ পরিস্থিতি। তার মাঝেই সুন্নি ইসলামপন্থী জঙ্গিবাহিনীর উপর সোমবার বিমান হামলা চালায় ইজরায়েল।
⭕️The IDF struck the entrance of the Syrian regime's military headquarters in the area of Damascus in Syria.
— Israel Defense Forces (@IDF)
The IDF continues to monitor developments and the regime's actions against Druze civilians in southern Syria. In accordance with directives from the political echelon,… pic.twitter.com/WSyBFrCiogTweet by @IDF
এর আগেও সিরিয়ায় হামলা চালিয়েছিল ইজরায়েল। হামলার কারণ হিসেবে জানানো হয়েছিল দ্রুজদের রক্ষা করার জন্যই এই হামলা। তার মাসখানেকের মাথায় ফের সিরিয়ায় হামলা ইজরায়েলের।
আরও পড়ুন: ২০০ বছর আগে ইংল্যান্ডে প্রথম খুলেছিল ভারতীয় রেস্তোরাঁ, কে শুরু করেছিলেন জানেন?
সোমবারের পর, ফের হামলা চালাল বুধবার। আইডিএফ অর্থাৎ ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স বুধবার এক্স হ্যান্ডেলে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, সিরিয়ার দামেস্ক এলাকায় সিরিয়ার শাসকগোষ্ঠীর সামরিক সদর দপ্তরের প্রবেশপথে আইডিএফ হামলা চালিয়েছে। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, আইডিএফ দক্ষিণ সিরিয়ায় ড্রুজ বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সরকারের পদক্ষেপ এবং উন্নয়ন পর্যবেক্ষণ করে চলেছে। রাজনৈতিক মহলের নির্দেশ অনুসারে, আইডিএফ এলাকায় হামলা চালাচ্ছে এবং বিভিন্ন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত রয়েছে।একাধিক সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, দামাস্কাসে সিরিয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকেও হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল।

এর আগে, ১২ দিন ধরে ইরানের উপর হামলা চালায় ইজরেয়ায়েল। পালটা দিয়েছে ইরানও। ইরানের পারমাণবিক, ক্ষেপণাস্ত্র এবং সামরিক ঘাঁটিতে ইজরায়েলের হামলার ফলে পশ্চিম এশিয়ায় এক ধাক্কায় ব্যাপক হারে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের মাঝে ইরানের তিনটি পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছিল আমেরিকাও। ইরানের ফোরদো, নাতানজ ও ইসফাহানে অবস্থিত তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে আমেরিকার সেনাবাহিনী হামলা চালিয়েছিল। এই হামলার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছিলেন খোদ ট্রাম্প। হামলার পরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছিলেন, ফোরদোতে বোমা নিক্ষেপ করে নিরাপদে আমেরিকায় ফিরছে মার্কিন বিমান। সোজা পরমানূ কেন্দ্রে হামলার নিন্দায় সরব হয়েছিল অনেক দেশ। আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল রাষ্ট্রপুঞ্জও। যদিও পরে জানা যায়, আমেরিকার হামলার কারণে ইরানের পরমাণু কেন্দ্রগুলি থেকে কোনও তেজস্ত্রিয় বিকিরণ হচ্ছে না।
ইরান শুরু থেকে জানিয়েছিল, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে যে কোনও ঘটনার মোকাবিলায় তারা প্রস্তুত। দুই দেশের সংঘর্ষ প্রভাব ফেলতে শুরু করেছিল গোটা বিশ্বে। চড়চড়িয়ে বাড়ছিল তেলের দাম। যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে, কী হতে পারে, গোটা বিশ্বে তার কী প্রভাব পড়তে পারে, কিংবা ঘটনাচক্রে, কুটনৈতিক সম্পর্কের কারণে কীভাবে এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলি, জোর আলোচনা ছিল তা নিয়েও।
