আজকাল ওয়েবডেস্ক: উদ্দাম যৌনতার মাঝেই এক বিবাহিত তরুণীর সঙ্গে বিজেপি নেতাকে হাতেনাতে ধরল জনতা। কোনও বাড়িতে, বা হোটেলে নয়। শ্মশানের মধ্যেই আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়লেন ওই বিজেপি নেতা। যোগীরাজ্যের এহেন কাণ্ড আর রাজ্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। এবার ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও। যা ঘিরে ব্যাপক শোরগোল। 

 

শ্মশানের মধ্যেই পার্কিং করা ছিল একটি গাড়ি। সাধারণত শ্মশানের মধ্যে গাড়ি রাখাই নিষিদ্ধ। কার গাড়ি, কেন সেটি নির্জন দুপুরে শ্মশানে রাখা, কয়েকজন দেখেই সন্দেহ করেছিলেন। এলাকার এক বাসিন্দা গাড়ির কাছে এগিয়ে যান। সেখানে যেতেই তাঁর চোখ ছানাবড়া হয়ে যায়। আপত্তিকর অবস্থায় এক তরুণীর সঙ্গে এলাকার জনপ্রিয় বিজেপি নেতাকে দেখতে পেয়েই গ্রামবাসীদের খবর দেন তিনি। 

 

মুহূর্তের মধ্যে গ্রামের ক্ষিপ্ত জনতা ঘটনাস্থলে হাজির হন। কয়েকজন মোবাইল অন করে ভিডিও করতেও শুরু করেন। গ্রামবাসীদের দেখে প্রথমে আতঙ্কে গাড়ির মধ্যে চুপচাপ বসেছিলেন ওই বিজেপি নেতা। অশান্তি বাড়তেই গাড়ি থেকে নেমে বাইরে আসেন। অর্ধনগ্ন অবস্থাতেই গ্রামবাসীদের পা ছুঁয়ে ক্ষমা চাইতে দেখা গেছে তাঁকে। শ্মশানের মধ্যেই যৌনতায় লিপ্ত হওয়ায় হাত জড়ো করে বারবার ক্ষমা চান তিনি। 

আরও পড়ুন: বড় মেয়েকে বিয়ে, আর ছোট মেয়ের সঙ্গে প্রেম, যৌনতা! জামাইয়ের যা হাল করল শ্বশুর

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহর জেলায়। ওই জেলার শিকারপুর কোতয়ালি এলাকার কৈলাওয়ান গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। ওই বিজেপি নেতার নাম, রাহুল বাল্মিকী। স্থানীয় বিজেপি মোর্চার বড় নেতা তিনি। সম্প্রতি তাঁকেই এক বিবাহিত তরুণীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় শ্মশানের মধ্যে হাতেনাতে ধরেন গ্রামবাসীরা। 

 

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, ধরা পড়ার সময় বিজেপি নেতার পরনে ছিল অন্তর্বাস ও বোতাম খোলা শার্ট। সেই অবস্থাতেই গাড়ি থেকে নেমে সকলের কাছে ক্ষমা চান। হাত জড়ো করে বলতে থাকেন, 'আমায় ক্ষমা করে দিন ভাইয়েরা'। ভিডিও না তোলার জন্য কাকুতি মিনতি করতেও দেখা গেছে তাঁকে। অন্যদিকে গাড়ি থেকে নেমেই ওই বিবাহিত তরুণী ওড়না দিয়ে নিজের মুখ ঢেকে রাখেন। বিজেপির নেতার পিছনে দাঁড়িয়ে নিজেকে লুকানোর চেষ্টা করছিলেন। তরুণীর সেই কাণ্ড ধরা পড়েছে ভিডিওতে। 

 

বিজেপি নেতার এহেন কাণ্ডের পর গ্রামবাসীরা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কিন্তু বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি পুলিশ। এমনকী শিকারপুর থানার পুলিশ ওই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি। এ ঘটনার পর থেকে বিজেপি নেতাও পলাতক। এদিকে ঘটনাটি ঘিরে তোলপাড় গোটা রাজ্য। 

প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগে মধ্যপ্রদেশের আরও এক বিজেপি নেতা আপত্তিকর অবস্থায় অশালীন আচরণের সময় ধরা পড়েছিলেন। গত মে মাসে দিল্লি-মুম্বই এক্সপ্রেসওয়ের মাঝপথে এক তরুণীর সঙ্গে সঙ্গমের মাঝেই ধরা পড়েছিলেন ওই বিজেপি নেতা। ইন্দোর থেকে ২০০ কিমি দূরে মান্দাসৌরে ঘটনাটি ঘটেছিল। মনোহরলাল নামের ওই বিজেপি নেতার কীর্তিও সোশ্যাল মিডিয়ায় হু হু করে ছড়িয়ে পড়েছিল। এই ঘটনার পর বিজেপির তরফে মনোহরলালকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছিল। এবার রাহুল বাল্মিকীর বিরুদ্ধে দলের তরফে কী পদক্ষেপ করা হয়, তার দিকেই মুখিয়ে রয়েছেন উত্তরপ্রদেশের শিকারপুরের গ্রামবাসীরা।