আজকাল ওয়েবডেস্ক: সাধারণের সুবিধার্থে লেখা হয়েছে দুই ভাষাতেই। কিন্তু গলোযোগ সেখানেই। ১৬ ডিসেম্বর অর্থাৎ বাংলার খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের দিন থেকেই নজরে এসেছে বিষয়টি। নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে গিয়ে সাধারণ মানুষ যখন দেখতে যাচ্ছেন তাঁদের নাম রয়েছে কি না খসড়া তালিকায় তখনই নজরে আসছে বিষয়টি।

'সার্চ ইয়োর নেম ইন ভোটার লিস্ট' অপশনে ক্লিক করতেই খুলে যাচ্ছে নতুন পাতা। সেখানে এপিক নম্বর লেখার বিষয়টি-সহ সব ক্ষেত্রেই দুটি ভাষায় লেখা রয়েছে। সেখানে যদি 'ভাষা' বাংলা সিলেক্ট করা হয়, তখন Epic Number 'Epic নম্বর' হিসেবে লেখা উঠছে। আর রাজ্য সিলেক্ট করার জায়গায় State এর বাংলা হিসেবে লেখা দেখা যাচ্ছে 'অবস্থা'। যদিও ভাষা বাংলায় বদল করারা আগে , State এর পাশে হিন্দি হরফে 'রাজ্য' লেখাই উঠছে, Epic Number-এর উপরে হিন্দি হরফে লেখা উঠছে 'ইপিআইসি নাম্বার'।
সোশ্যাল মিডিয়ায় মঙ্গলবার থেকেই এই 'অবস্থা' নিয়ে জোর চর্চা। এই ঘটনায় নির্বাচন কমিশনকে একহাত নিয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের এক্স হ্যান্ডেল থেকে একটি লম্বা পোস্ট করা হয়েছে এই বিষয়ে। যার অর্থ, যখন নির্বাচন কমিশন ‘রাজ্য’ কে ‘অবস্থা’ তে পরিণত করে, তখন সাধারণ মানুষকে নির্বাচন কমিশনের 'অবস্থা' সম্পর্কে ভাবতে বাধ্য হয়। এই ঘটনাকে তৃণমূল কংগ্রেস নিছক ভুল অর্থ হিসেবে দেখছে না। দেখছে বাংলার অপমান হিসেবে।
নির্বাচন কমিশনকে ট্যাগ করে ওই পোস্টেই লেখা হয়েছে, 'ইলেকশন কমিশন অফ ইন্ডিয়া ভারতের নির্বাচনী প্রক্রিয়ার অখণ্ডতা, নির্ভুলতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় রাখার জন্য সাংবিধানিকভাবে দায়বদ্ধ। তবুও, তাদের নিজস্ব অফিসিয়াল ভোটার সার্ভিস পোর্টালে, "State(রাজ্য)" এর বাংলা শব্দটি ভুলভাবে "অবস্থা" হিসাবে অনুবাদ করা হয়েছে যার অর্থ আসলে "অবস্থা" বা "স্থিতি", কোনও রাজ্য বা প্রদেশ নয়। এটি একটি মৌলিক ভাষাগত ত্রুটি যা বাংলার প্রতি তাদের অবহেলাকেই প্রতিফলিত করে।'
তৃণমূলের বক্তব্য, একটি শব্দের অর্থ যখন ঠিকভাবে এক ভাষায় করতে পারেনি, তখন অ-হিন্দিভাষী ভোটারদের প্রতি নির্বাচন কমিশনের শ্রদ্ধা সম্পর্কে গুরুতর প্রশ্ন ওঠে। পোস্টে লেখা হয়েছে, 'এই অসঙ্গতি উপেক্ষা করা অসম্ভব। একই পোর্টালে, অসমিয়া, যে ভাষাটির বাংলা ভাষার মতো একই রকম লিপি এবং ভাষাগত কাঠামো, তা সঠিকভাবে অনুবাদ করা হয়েছে। তাই এটি কোনও প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা বা ভাষার বাধা নয়। এটি ইচ্ছাকৃত অসাবধানতা।'
