আজকাল ওয়েবডেস্ক: রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দপ্তর জানিয়েছেন, কোচবিহার, হুগলি, শিলিগুড়ি এই তিন জেলায়, তিন জায়গার ৩ জন বিএলও'কে নতুন করে শোকজ করা হয়েছে বুধবার। কোচবিহারের অশ্বিনী অধিকারী ও শিবানী অধিকারী, হুগলির চন্ডীতলার সূর্য দে এবং শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার শিবানী পাল ভোটারদের ক্ষেত্রে নাম নথিভুক্ত নিয়ে বড়সড়ো গোলযোগ ধরা পড়ায় শোকজ করেছেন নির্বাচন কমিশন। 

অন্যদিকে মোঃ সেলিমের ছেলে আতিস আজিজ এর নাম ডিজিটাইজেশনের সময় বাংলা ভাষা ও ইংরেজি ভাষার বৈপরীত্যের কারণে সমস্যা তৈরি হয়।খসড়া তালিকায় সেলিমের পুত্র অতীশ আজিজের পদবির জায়গায় উত্তর ভারতের ব্রাহ্মণদের মধ্যে প্রচলিত ‘অবাস্তি’ পদবি যুক্ত হয়ে যাওয়ায় রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। কলকাতা পোর্ট বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার অতীশ আজিজ খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর নিজের এবং পরিবারের নাম যাচাই করতে তালিকা স্ক্যান করেন। প্রথম নজরে তেমন অসঙ্গতি চোখে না পড়লেও, বিস্তারিতভাবে ভোটার তথ্য খতিয়ে দেখার সময় তিনি লক্ষ্য করেন, তাঁর নামের পদবির ঘরে ‘আজিজ’-এর বদলে ‘অবাস্তি’ লেখা রয়েছে। যদিও নামের অন্যান্য অংশ ইংরেজি ও বাংলায় সঠিক ছিল, বদলে যায় পদবি। পরবর্তীতে তা সংশোধন হয়েছে বলেই নির্বাচন কমিশন। কারণ হিসেবে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দপ্তর জানিয়েছে, জেলাগুলিতে বাংলা থেকে বাংলা ডিজিটালাইজেশন হলেও শহর কলকাতায় বাংলা থেকে ইংরেজি ভাষায় আপলোডের কারণেই মূলত এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। 

রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দপ্তর আরও জানিয়েছে, হিয়ারিং অর্থাৎ শুনানির ক্ষেত্রে ৮৫ বছর বা তার ঊর্ধ্বে যে সমস্ত বৃদ্ধ বা বৃদ্ধারা রয়েছেন, তাঁদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। খসড়া তালিকায় কোন রকম অসংগতি ধরা পড়লে সেই সমস্ত বৃদ্ধ বা বৃদ্ধাদের বাড়ি গিয়ে নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি AERO এবং BLO-সহ স্থানীয় প্রতিনিধি নিয়ে হিয়ারিং এর কাজ সম্পন্ন করা হবে। অর্থাৎ যাঁদের নাম আপলোডের ক্ষেত্রে একাধিক সমস্যা রয়েছে, তাঁদের হিয়ারিং-এর ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা বাড়িতে গিয়েই সমস্ত কাজ সারবেন।

শুনানি অর্থাৎ হিয়ারিং শুরু হবে কবে? 
 রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দপ্তর জানিয়েছে, জাতীয় নির্বাচন কমিশনের এসওপি অর্থাৎ স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর-এর নোটিস আসার পরেই শুরু হবে প্রক্রিয়া। এক কথায় বলা যেতে পারে, হিয়ারিংয়ের পদ্ধতি রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দপ্তর জাতীয় নির্বাচন কমিশনের এই নোটিসের জন্যই অপেক্ষা করছে। তবে ২৩ কিংবা ২৪ ডিসেম্বর থেকে এই পর্বের কাজ শুরু হবে বলে মনে করা হচ্ছে। মূলত খসড়া তালিকা প্রকাশনের পর আনুমানিক সাতদিন পর কাজ শুরু হবে। তবে তা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের SOP নোটিস আসার পর। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দপ্তর , শুনানির জন্য ডাক পাঠানো হতে পারে বৃহস্পতিবার থেকেই।