আজকাল ওয়েবডেস্ক: ক্ষমতায় ফেরার পর থেকেই, একের পর এক শুল্ক-সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এসবের পর, ব্রিকস সম্মেলন চলার মাঝেই রবিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, ব্রিকসের "আমেরিকা-বিরোধী নীতি"-র সঙ্গে নিজেদের সামিল করা দেশগুলির উপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।
মঙ্গলবারেই জানা গিয়েছিল, বাংলাদেশ-সহ ১৪টি দেশকে শুল্ক-চিঠি পাঠিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সোমবার রাতে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, বসনিয়া, তাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, সার্বিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তিউনিশিয়া, মায়ানমার, লাওস, দক্ষিণ আফ্রিকা, কাজাখস্তান এবং মালয়েশিয়ায় চিঠি পাঠিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
আরও পড়ুন: গুজরাট সেতু বিপর্যয়ের বড় মাশুল গুনতে হবে স্থানীয়দের, ঘনিয়ে এল বড় বিপদের দিন
বুধবারেই জানা গেল, আরও সাত দেশ অতি সত্বর মার্কিন মুলুকের শুলক-চিঠি পেতে চলেছে। বুধবার খোদ ট্রাম্প জানান একথা। জানিয়েছেন, পরেরদিন সকালের মধ্যে সাত দেশ আনুষ্ঠানিক শুল্ক-চিঠি পেয়ে যাবে। দুপুরের মধ্যে আরও কিছু দেশের কাছে চিঠি যেতে পারে, সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই বার্তা দিয়েছেন। সূত্রের খবর, লিবিয়া, ইরাক এবং আলজেরিয়া সহ বেশ কয়েকটি দেশের উপর ৩০% পর্যন্ত নতুন শুল্ক আরোপ করতে চলেছে মার্কিন মুলুক।
উল্লেখ্য, এর আগেই ভারত প্রসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সাফ জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিষয়টি অগ্রসর হচ্ছে। বেশকিছু প্রসঙ্গে একমত না হওয়ার জন্যই চুক্তিতে বিলম্ব হচ্ছে, সূত্রের খবর তেমনটাই। সোমবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প জানান, ‘আমরা ব্রিটেনের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছি, আমরা চীনের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছি, আমরা একটি চুক্তি করেছি, আমরা ভারতের সঙ্গে একটি চুক্তি করার কাছাকাছি।‘ যাদের সঙ্গে চুক্তি সম্ভব নয় বলে মনে করেছেন, সেইসব দেশগুলির কাছে চিঠি যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প।
