আজকাল ওয়েবডেস্ক: ইডেনে চলতি আইপিএলের প্রথম ম্যাচে আরসিবির পারফরম্যান্স দেখেই অনেকে মন্তব্য করেছিলেন, আইপিএলের ১৮তম সংস্করণে ১৮ নম্বর জার্সিধারী বিরাট কোহলির ভাগ্য বদলাতে পারে। তারপর গ্রুপ পর্ব শেষ হয়ে এদিন প্রথম কোয়ালিফায়ারেও আগুন ঝরাল বেঙ্গালুরু। পাঞ্জাব কিংসকে তছনছ করে দিয়ে আইপিএলের ফাইনালে পৌঁছলেন বিরাট কোহলিরা। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং সমস্ত বিভাগেই ফুল মার্কস পেয়ে পাশ করল আরসিবি। পাঞ্জাব কিংসকে আট উইকেটে হারাল রজত পাতিদারের দল। ২০ ওভারে ১০২ রান তাড়া করতে নেমে পাঞ্জাব বোলিংকে একাই দুরমুশ করলেন ফিল সল্ট।

মুল্লানপুরে এই মাঠেই কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ৯৫ রানে অলআউট করে কম রানের ম্যাচ জিতে নিয়েছিল পাঞ্জাব। এদিন সেই ভুল আরসিবি করেনি। ব্যাটিংয়ের জন্য খুব একটা সহজ পিচ না হলেও পাওয়ার প্লে-তেই বেশির ভাগ রান তুলে নেন সল্ট। তবে এদিন রান আসেনি কোহলির ব্যাট থেকে। উল্টোদিকে থাকা ফিল সল্ট একাই দায়িত্ব নিয়ে রান তোলেন। কাইল জেমিসনের বলে কোহলি ফিরতে এদিন তিন নম্বরে ময়াঙ্ক আগরওয়াল নেমেছিলেন ইমপ্যাক্ট সাব হিসেবে। তিনি ফেরেন ১৯ রানে। চার নম্বরে নেমে অধিনায়ক রজত পাতিদার এবং সল্ট ৬০ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ পকেটে পুরে নেন।

এদিন আরসিবির হয়ে অধিনায়কত্বে ফিরেছিলেন পাতিদার। টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। নতুন বল নাড়াচাড়া করছিল দেখেই পরপর তিন পেসার লেলিয়ে দেন রজত। আর তাতেই মিটে যায় কাজ। ৫০ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারায় পাঞ্জাব। প্রত্যেকটা উইকেটই নেন পেসাররা। দুটি করে উইকেট দয়াল এবং হ্যাজলউডের, একটি উইকেট নেন ভুবনেশ্বর। পাঞ্জাব কিংসের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন মার্কাস স্টয়নিস(২৬)।

শেষের দিকে কাজ সারেন সুয়াশ শর্মা। তিন ওভার বল করে ১৭ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন তিনি। যার মধ্যে ছিল বিপজ্জনক স্টয়নিসের উইকেটও। বেঙ্গালুরুর টাইট বোলিংয়ের জবাবে ১০১ রানে অলআউট হয়ে যায় পাঞ্জাব। রান তাড়া করতে নেমে কাইল জেমিসনের একটা ওভার ছাড়া একবারের জন্যও বিপজ্জনক মনে হয়নি পাঞ্জাবকে। ওই একটি ওভারে কোহলির উইকেট বাদ দিলে বাকি ম্যাচ নিজেদের দখলে রেখে ফাইনালের টিকিট পাকা করে নিল বেঙ্গালুরু।