রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। দেহের সমস্ত কোষে অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়ার গুরুদায়িত্ব থাকে হিমোগ্লোবিনের হাতে। শরীরে আয়রনের অভাব হলে তখনও হিমোগ্লোবিন উৎপাদন ব্যাহত হয়। পরিসংখ্যান বলছে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা বেশি রক্তাল্পতায় ভোগেন।
2
9
শরীরে লোহিত রক্ত কণিকার পরিমাণ বাড়াতে বিটের জুড়ি মেলা ভার। বিটের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ শর্করা। তাই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে বিট এড়িয়ে চলতে পারলেই ভাল।
3
9
আয়রনের ঘাটতি মেটাতে খান কুলেখাড়া এবং হেলেঞ্চা এই দুই ধরনের শাক। হিমোগ্লোবিন সঠিক মাত্রায় বজায় রাখার জন্য এই দুই শাকের জুড়ি মেলা ভার। এছাড়াও নিয়মিত থোড়, মোচা খেলে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কখনই কম হবে না।
4
9
বেদানার মধ্যে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ভিটামিন সি। এছাড়াও থাকে প্রচুর পরিমাণ আয়রন। একগ্লাস ইষদুষ্ণ দুধের সঙ্গে বেদানা মিশিয়ে খান। এতেও শরীরে হিমোগ্লোবিন বাড়বে।
5
9
পালংশাকে রয়েছে ভরপুর আয়রন। বাহারি পালং পনির কিংবা পালংশাকের তরকারি, যে কোনওভাবেই পালংশাক খেলে উপকার মিলবে।
6
9
ভরপুর প্রোটিনের সঙ্গে মুসুর ডালে রয়েছে আয়রনও। তাই নিয়মিত মুসুর ডাল খেতে পারেন। শুধু মুসুর নয়, বিভিন্ন ধরনের ডাল ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খান। এতে আয়রনের সঙ্গেই মিটবে অন্যান্য পুষ্টির চাহিদাও। তবে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি থাকলে মুসুর ডাল কম খাওয়া উচিত।
7
9
আম, আপেল, পেয়ারা, লেবুর মতো ফলে রয়েছে ভিটামিন সি। যা শরীরে আয়রন শোষণে সাহায্য করে। অন্যদিকে, বেদানায় আছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। রোজ এই ফল খেলেই রক্তাল্পতার ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।
8
9
চিংড়ি, পমফ্রেটের মতো সামুদ্রিক মাছের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে। এই ধরনের মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়, যা শারীরিক প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
9
9
কাজু, আমন্ড, আখরোট, কিশমিশ, খেজুরের মতো ড্রাই ফ্রুটস রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। রোজের ডায়েটে এইসব বাদাম ও শুকনো ফল রাখলে কমে একাধিক রোগের ঝুঁকিও।