শনিবার মেসিকে ঘিরে যুবভারতী স্টেডিয়ামে যে অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে তার চর্চা এখনও অব্যাহত। দর্শকদের প্রিয় ফুটবল তারকাকে দেখতে না পাওয়ার ক্ষোভ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গঠিত কমিটির তদন্ত, মেসির সঙ্গে ছবি দিয়ে শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়কে চরম কটাক্ষ, গত তিন দিন ধরে ঘটে গিয়েছে একের পর এক ঘটনা। আর এরই মাঝে মঙ্গলবার ক্রীড়ামন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন অরূপ বিশ্বাস। মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে এমনই ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন তিনি। যুবভারতী–কাণ্ডে নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে ক্রীড়ামন্ত্রীর পদ থেকে অরূপ অব্যাহতি চেয়েছেন বলে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিতে জানিয়েছেন। সূত্রের খবর, সিদ্ধান্ত বিবেচনা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। 

ক্রীড়ার সঙ্গে বাংলার বিনোদন জগতেও ওতঃপ্রোতভাবে যুক্ত অরূপ বিশ্বাস। টলিপাড়ার বহু নায়ক-নায়িকার মতো অভিনেতা দিব্যজ্যোতি দত্তর কাছেও তিনি 'কাছের মানুষ'। এদিন অরূপ বিশ্বাসে এই সিদ্ধান্তে কী মত অভিনেতার? আজকাল ডট ইন-কে তিনি বলেন, "ঠিক কেন এই সিদ্ধান্ত আমি বলতে পারব না। । তবে আমি অনেক সাহায্য পেয়েছি। আমি অনেকের চেয়ে জুনিয়র। আমার ইন্ডাস্ট্রিতে বেশিদিন হয়নি। এই অল্প দিনে আমায় নবান্ন থেকে কার্ড হোক কিংবা অরূপ দা-র অফিস থেকে, সবসময়ে খুবই সম্মান পেয়েছি।"

হাজার হাজার টাকা দিয়ে  টিকিট কেটেও ফুটবলের রাজপুত্রকে দেখতে না পাওয়ারআক্ষেপে ক্ষুব্ধ জনতা যুবভারতী স্টেডিয়ামে ভাঙচুর চালায়। চেয়ার, জলের বোতল মাঠে ছুঁড়ে মারতে থাকেন। তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা। ঘটনাটি 'অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক' বলে উল্লেখ করেছেন দিব্যজ্যোতি। তাঁর কথায়, "যা হয়েছে তা তো সত্যি খারাপ। যারা টিকিট কেটে এসে মেসিকে দেখতে পাননি, আমারও খারাপ লেগেছে। আমারও দু'এক জন বন্ধু গিয়ে নিরাশ হয়েছে। আসলে শুরু থেকেই বোধহয় বিষয়টাতে সমস্যা ছিল। এর আগে ২০১১ সালে মেসি এসেছিল। তখনও টিএমসি ছিল, এখনও আছে। কেন যে হয়েছে। এটা কি কোনও অভিশাপ?"

দিব্যজ্যোতিও কি মেসির ভক্ত? নাহ, অভিনেতার কাছে দেশের ফুটবলার সুনীল ছেত্রী এগিয়ে। তিনি বলেন, "মেসি স্বপ্নের মতো ঠিকই। কিন্তু আমার কাছে মেসির থেকে এগিয়ে সুনীল ছেত্রী। আমি ফুটবল খুব বেশি বুঝি না। আমি ক্রিকেট ভাল খেলি। আমার দেশ আমার কাছে এগিয়ে। আমি আমার দেশকে দেখতে চাই। সুনীল ছেত্রীর নাম বিশ্বে ৩ নং আছে।"