আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতীয় রেলপথ বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্ক, যা দেশের দৈর্ঘ্য-প্রস্থে ৬৭,৯৫৬ কিলোমিটার বিস্তৃত। ভারতীয় রেলপথে গড়ে প্রতিদিন প্রায় ১৩,০০০ যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করে। এই পরিষেবার ফলে লক্ষ লক্ষ যাত্রীকে নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছতে পারে। কিন্তু আপনি কি কখনও বিশ্বের দীর্ঘতম ট্রেন যাত্রা সম্পর্কে ভেবেছেন। বিশ্বের দীর্ঘতম রেলযাত্রায় যাত্রীর রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা হতে বাধ্য। এতে ট্রেনে চড়ে যাত্রী ১৩টি দেশের মধ্য দিয়ে যান এবং এই যাত্রা ২১ দিন স্থায়ী হয়।

বিশ্বের দীর্ঘতম ট্রেন যাত্রা
বিশ্বের দীর্ঘতম ট্রেন যাত্রা কোনও আন্তঃনগর যাত্রা বা এমনকি আন্তঃদেশীয় ভ্রমণ নয়, বরং এটি একটি আন্তঃমহাদেশীয় ভ্রমণ, যা ১৩টি ভিন্ন দেশে ১৮,৭৫৫ কিলোমিটার (১১,৬৫৪ মাইল) বিস্তৃত। এই যাত্রাটি পর্তুগালের আলগারভ থেকে শুরু হয়ে সিঙ্গাপুরে শেষ হয়। প্যারিস, মস্কো, বেজিং এবং ব্যাঙ্ককের মতো বিখ্যাত শহরগুলি ছুঁয়ে এই ট্রেন যাত্রা ১৩টি দেশ অতিক্রম করে।

এই যাত্রাটি সম্পন্ন করতে ২১ দিন সময় লাগে, যার মধ্যে রাত্রিযাপন এবং ভিসা পরীক্ষাও অন্তর্ভুক্ত। তবে, খারাপ আবহাওয়া এবং অন্যান্য অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি ভ্রমণের সময় আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।

একটি টিকিট, ১৩টি দেশ
পর্তুগাল থেকে সিঙ্গাপুরের ট্রেন যাত্রা মূলত একটি অভিজ্ঞতা, যা যাত্রীদের একটি টিকিটে ফ্রান্স, রাশিয়া, চিন, ভিয়েতনাম এবং থাইল্যান্ড-সহ ১৩টি দেশ ভ্রমণের সুযোগ করে দেয়।

বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, এই ট্রেনে একমুখী যাত্রার খরচ মাত্র ১৩৫০ ডলার (প্রায় ১,১৫,৪৯৬ টাকা), যা এটিকে পকেট-বান্ধব উপায়ে ইউরোপ থেকে এশিয়ায় আন্তঃমহাদেশীয় ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে সস্তা বিকল্পগুলির মধ্যে একটি।

বিশ্বের দীর্ঘতম ট্রেন যাত্রায় খাবারের বিকল্প
ট্রেনটিতে একটি সম্পূর্ণ সাজানো রান্নাঘর, একটি প্যান্ট্রি এবং অনবোর্ড ডিনার রুম রয়েছে। একানে যাত্রীদের জন্য বিশ্বের নানা যাত্রীকে রকমারি খাবার পরিবেশন করা হয়। তবে, বিশ্বের দীর্ঘতম ট্রেন যাত্রার আগে, ভ্রমণকারীদের অবশ্যই ভ্রমণের সময় কোনও বাধা এড়াতে বিভিন্ন দেশের ভিসা-সহ সমস্ত প্রয়োজনীয় নথিপত্র বহন করতে হবে।