আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রস্রাবের রং আমাদের শারীরিক সুস্থতা এবং বিশেষ করে শরীরে জলের পরিমাণের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক। প্রস্রাবের সাধারণ রং স্বচ্ছ হওয়া উচিত। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় প্রস্রাব হলুদ কিংবা গাঢ় হলুদ হয়ে গিয়েছে। এই বিষয়টি অবহেলা করলেই দেখা দিতে পারে বড় বিপদ। বিশেষ করে এই গরমে বিপদ আরও বেশি। কারণ প্রস্রাব গাঢ় হলুদ হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ জলশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন।

আমাদের কিডনির প্রধান কাজ হল রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থ এবং অতিরিক্ত জল ফিল্টার করে প্রস্রাব তৈরি করা। যখন আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করি, তখন কিডনি সেই জলের সাহায্যে বর্জ্য পদার্থগুলোকে পাতলা করে শরীর থেকে বের করে দেয়। এই অবস্থায় প্রস্রাবের রং সাধারণত হালকা হলুদ বা প্রায় বর্ণহীন হয়।
কিন্তু যখন শরীরে জলের অভাব দেখা দেয় বা আমরা প্রয়োজনের তুলনায় কম জল পান করি (অর্থাৎ জলশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন হয়), তখন কিডনি শরীরে জল ধরে রাখার চেষ্টা করে। এর ফলে, প্রস্রাবে জলের পরিমাণ কমে যায়, কিন্তু বর্জ্য পদার্থের (যেমন- ইউরোবিলিন বা ইউরোক্রোম, যা প্রস্রাবকে তার স্বাভাবিক হলুদ রং দেয়) পরিমাণ তুলনামূলকভাবে একই থাকে। ফলে, কম জলে বেশি বর্জ্য পদার্থ মিশ্রিত হওয়ায় প্রস্রাবের ঘনত্ব বেড়ে যায় এবং এর রং গাঢ় হলুদ, এমনকী কখনও কখনও কমলা হয়ে যায়।

কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত?
সাধারণত পর্যাপ্ত জল পান করলে প্রস্রাবের রং স্বাভাবিক হয়ে যায়। তবে, যদি জল পান করার পরেও একটানা কয়েকদিন ধরে প্রস্রাবের রং গাঢ় হলুদ থাকে, অথবা এর সঙ্গে জ্বর, পেটে ব্যথা, বা প্রস্রাবে জ্বালাপোড়ার মতো অন্যান্য উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ, জলশূন্যতা ছাড়াও লিভারের সমস্যা, পিত্তথলির সমস্যা, কিডনির রোগ বা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের কারণেও প্রস্রাবের রং গাঢ় হতে পারে।