আজকাল ওয়েবডেস্ক: রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দপ্তরের তরফে আজ ঘোষণা করা হয়েছে, এসআইআর প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় পর্বে অর্থাৎ শুনানির ক্ষেত্রে প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে শুনানি হবে। শুনানি পর্বের অবজারভেশনের জন্য মাইক্রো অফসার্ভারের পাশাপাশি সিসিটিভি ব্যবহৃত হবে।
সিইও দপ্তরে ঘোষণা করেছে, প্রতিটা বিধানসভা ধরে শুনানি হবে এবং ১০ থেকে ১১টি ভাগে শুনানি হবে প্রয়োজনমতো। তবে নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, একইসঙ্গে ১০ থেকে ১১টি ঘর নিয়ে তারা কাজ করতে চাইছে তাদের সুবিধার জন্য। প্রতিটি ঘরে বা ভাগে একজন করে ইআরও এবং ১০ জন করে এইআরও থাকবেন। প্রয়োজনে এইআরও-এর সংখ্যা বাড়িয়ে ৫০ জন পর্যন্ত হতে পারে। তবে বিএলও আধিকারিকরা এই শুনানিতে থাকবেন না।
নির্বাচন কমিশন আরও জানিয়েছে, শুনানিতে সুরক্ষার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজনীয়তা রাজ্য সিদ্ধান্ত নেবে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন অর্থাৎ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দপ্তর কোনও সিদ্ধান্ত নেবে না। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, বিশেষ কিংবা জরুরি ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।
আরও জানানো হয়েছে, শুনানির জন্য প্রতিটি বিধানসভা থেকে দিনে অন্তত ১০০ জন ভোটারকে ডাকা হবে। এই কাজের দায়িত্ব সামলাবেন এইআরও-রা। আগামী ১৬ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গের খসড়া তালিকা প্রকাশ করবে কমিশন। সেই তালিকায় কোনও অভিযোগ থাকলে, ত্রুটি থাকলে কমিশনকে জানাতে হবে। তার ভিত্তিতে হবে শুনানি। তথ্যপ্রমাণ যাচাই করে চূড়ান্ত তালিকা তৈরি হবে। তা প্রকাশ করা হবে ২০২৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক, অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক, যুগ্ম মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এবং উপ-মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের সঙ্গে আজ বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির উইলিয়ামসন ম্যাগর হলে ২২টিরও বেশি এনফোর্সমেন্ট সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন।
নির্বাচন কমিশন অফ ইন্ডিয়া (ECI)-এর নির্দেশ অনুযায়ী, নির্বাচনী প্রক্রিয়ার শেষ দিনের অন্তত ছয় মাস আগে এনফোর্সমেন্ট সংস্থাগুলির সঙ্গে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়া আবশ্যক। সেই নির্দেশ মেনেই আজ (১১ ডিসেম্বর) এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। অংশগ্রহণকারী সকল দপ্তরকে নোডাল অফিসার নিয়োগ করা এবং ECI-এর প্রেস নোট প্রকাশের দিন থেকেই প্রাক-নোটিফিকেশন কাজের অংশ হিসেবে কন্ট্রোল রুম স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে স্পষ্ট করা হয় যে, নির্বাচন বিজ্ঞপ্তি জারির পর সকল নাকা (Naka) পয়েন্টে স্ট্যাটিক সার্ভেইলেন্স টিম (SST)-এর মাধ্যমে সিসিটিভি নজরদারি ও ওয়েবকাস্টিং করা হবে। এছাড়া জিপিএস-নিয়ন্ত্রিত (GPS ট্র্যাকড) ফ্লাইং স্কোয়াড যানবাহনে ক্যামেরা সংযুক্ত থাকবে এবং সেগুলির মাধ্যমেও ওয়েবকাস্টিং করা হবে। সেই অনুযায়ী সকল দপ্তরকে পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
এছাড়াও বুথ লেভেল অফিসার (BLO)-দের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। কমিশন বুথ লেভেল অফিসার (BLO) এবং অন্যান্য নির্বাচন কর্মকর্তাদের উপর হামলার ঘটনায়, কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে। BLO-সহ যে কোনও নির্বাচনী আধিকারিকের হেনস্থার ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়ে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়ালকে শুক্রবার চিঠি পাঠিয়েছে কমিশন।
সকল জেলা নির্বাচন আধিকারিককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে বুথ লেভেল অফিসার (BLO) বা যে কোনও নির্বাচন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হামলার ঘটনার ক্ষেত্রে অবিলম্বে এফআইআর (FIR) রুজু করা হয়। এছাড়াও, বুথ লেভেল অফিসার (BLO) এবং অন্যান্য নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সকল প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
